প্রতিবেদন : ধিক্কার বিজেপিকে। বিজেপির জমানায় বিচারের নামে প্রহসন চলছে দেশে। তা না হলে একজন যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দি ১৫ বার প্যারোলে মুক্তি পান! ভোট এলেই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষণ-খুনের আসামি রামরহিমকে (Ram Rahim) প্যারোল দেওয়া হয়। এ তো বিচারের নামে প্রহসন চলছে। দেশের বিচার-ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন প্যারোল, কোন কারণে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত রামরহিমের মতো অপরাধীকে বারবার প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে? তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রশ্ন তুলেছে, এটা কি আদৌ ন্যায়বিচার?
বিজেপি-শাসিত সমস্ত রাজ্যে মহিলাদের উপর অপরাধ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সেখানে নিজের শিষ্যাদের ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ভোট এলেই প্যারোলে ছুটি পেয়ে যাচ্ছেন। হরিয়ানায় ভোটের আগে, গত লোকসভা ভোটের সময় প্যারোলে মুক্তি পান রামরহিম। সামনে দিল্লির নির্বাচন, তার আগে ফের ৩০ দিনের প্যারোল পেলেন রামরহিম। এমন অপরাধীকে ১৫ বারেরও বেশি প্যারোল! ন্যায়ের জন্য লড়াই করা অসংখ্য মহিলাদের সঙ্গে এটা তো বিশ্বাসঘাতকতা! তৃণমূলের দাবি, মোদিজি মুখ খুলুন, অপরাধীদের রক্ষা করা কি আপনার কাছে মহিলাদের সম্মান এবং সুরক্ষার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ? ভোট এলেই রামরহিমের মুক্তি! ন্যায়বিচারের কোনও গুরুত্বই নেই আপনাদের কাছে?
আরও পড়ুন- ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির আসামিকে বেকসুর মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট! কিন্তু কেন?
ধর্ষণ ও ধর্ষণ-খুনের মতো অপরাধে ফাঁসিই উপযুক্ত সাজা বলে সওয়াল করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরাজিতা বিলের মাধ্যমে সেই সাজা আইন হিসাবে আনার পথে হেঁটেছে বাংলা। তা যে কতটা সঙ্গত তার প্রমাণ মিলল হরিয়ানার স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামরহিমের টানা ৩০ দিনের প্যারোলে মুক্তিতে। নির্দেশে জানানো হয়েছে, নিজের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শীর্ষার ডেরাতেও ফিরে যেতে পারবে রামরহিম। প্রমাণিত যাবজ্জীবনের সাজার অপরাধী যে কোনও সময়েই বেরিয়ে বাইরে চলে আসতে পারে। উল্লেখ্য, নিজের শিষ্যদের ধর্ষণে অভিযুক্ত হরিয়ানার ধর্মগুরু রামরহিম। ২০১৭ সালে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণে ২০ বছর যাবজ্জীবন সাজায় দণ্ডিত হন তিনি। ২০১৬ সালে এক সাংবাদিকের খুনেও অভিযুক্ত রামরহিম (Ram Rahim)। মাত্র সাত বছরে ১৫ বার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছে রামরহিম। এবারে একটানা ৩০ দিনের প্যারোল।