প্রতিবেদন : প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগেই ভাইরাল রামলালার (Ram Lalla idol) মুখ। গোটা দেশের সমস্ত সংবাদমাধ্যমের দৌলতে দেশবাসী দেখে ফেলেছে রামলালাকে। এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত। কীভাবে রামলালার ছবি প্রকাশ্যে এল তার তদন্ত চেয়েছেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস। এই ঘটনায় উদ্বোধনের আগেই বিতর্কের কেন্দ্রে ‘রামলালা’ (Ram Lalla idol)।
সোমবার অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। তার আগে রীতিনীতি মেনে মন্দিরের গর্ভগৃহে বসেছে রামমূর্তি। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতেই চরম ‘ক্ষুব্ধ’ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে আচার্য সত্যেন্দ্র দাস জানিয়েছেন, প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে রামলালার চোখ প্রকাশ্যে আসতে পারে না। যে ছবিতে রামলালার চোখ দেখা যাচ্ছে, সেই ছবি প্রকৃত নাও হতে পারে। কারা রামলালার খোলা চোখের ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন তার তদন্ত হওয়া উচিত বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। এদিকে আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের মন্তব্য ঘিরেও সংশয় তৈরি হয়েছে। তিনি একবার বলেছেন প্রকাশিত মূর্তির ছবি আসল নয়। পরক্ষণেই আবার বলেছেন, যদি তা আসল হয় তবে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চাই। ঘটনা হল, শুক্রবার রামলালার মূর্তির ছবি প্রথম এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। সেই ছবি গোটা দেশের সংবাদমাধ্যমে যখন দেখানো হয় তখন গেরুয়া শিবির বা কেন্দ্রীয় সরকার, কোনও মহল থেকেই আপত্তি জানিয়ে উচ্চবাচ্য করা হয়নি। এখন প্রধান পুরোহিতের মন্তব্য থেকে মন্দিরের অন্দরে সমন্বয়ের অভাব উঠে আসছে বলে মনে করছে অনেকে।
বৃহস্পতিবার ভোরে নেপালের কষ্টিপাথরে তৈরি রামলালার মূল মূর্তিটিকে প্রবেশ করানো হয় গর্ভগৃহে। ‘গৃহপ্রবেশে’র আগে একদফা পুজো হয় রামলালার। এর পর ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি সহযোগে ক্রেনের সাহায্যে মন্দিরে ঢোকেন রামলালা। তার পরেই প্রকাশ্যে আনা হয় রামলালার প্রথম ছবি। তবে সেই ছবিতে পাঁচ বছর বয়সি রামের মুখের দর্শন মেলেনি। পরে বিজেপি নেতার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও সংবাদমাধ্যমে কষ্টিপাথরে তৈরি রামের ছবি ভাইরাল হয়। যেখানে তার মুখ সম্পূর্ণ উন্মুক্ত।