নয়াদিল্লি, ২১ জানুয়ারি : ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ জয় ভারতীয় ক্রিকেটে সোনালি মুহূর্ত। আন্ডারডগ থেকে সবাইকে অবাক করে দিয়ে লর্ডসে ক্রিকেটের মক্কায় বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছিল কপিল দেবের ভারত। ’৮৩-র সেই সোনালি সফর সেলুলয়েডের পর্দায় জীবন্ত করে করে তোলা হয়েছে। দেশের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউড তারকা রণবীর সিং। বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যান্য সদস্যদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনেকে। কিন্ত অধিনায়ক কপিলের চরিত্রে অভিনয় করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রণবীর।
আরও পড়ুন-রোহিতকেই নেতা চান পিটারসেন
বিশ্বকাপ ফাইনালে দুর্ধর্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম উইকেট নিয়েছিলেন বলবিন্দর সিং সান্ধু। স্বপ্নের ডেলিভেরিতে গর্ডন গ্রিনিজের স্টাম্প ছিটকে দিয়েছিলেন সান্ধু। সেই তিনিও কপিলের ভূমিকায় রণবীরের অভিনয় দেখে মুগ্ধ। সান্ধু বলেছেন, ‘‘৮৩ ছবিতে আপনারা দেখবেন কপিল দেবকে, রণবীর সিংকে নয়। রণবীর যেভাবে কপিলের চরিত্রের মধ্যে ঢুকে গিয়ে অভিনয় করেছে, যে কার্যনীতি, পরিশ্রমের মাধ্যমে কপিলের চরিত্রায়ন করেছে, তা অবিশ্বাস্য। চোখের সামনে দেখেছি রণবীর কী পরিশ্রমই না করেছে কপিলের চরিত্র পর্দায় সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য। ও নিজেই দুর্দান্ত এক চরিত্র। উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভরপুর। সর্বোপরি দারুণ একজন মানুষ রণবীর।”
আরও পড়ুন-অস্ট্রেলিয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপ ১৬ অক্টোবর-১৩ নভেম্বর
সান্ধু আরও বলেন, ‘‘কপিলের চরিত্রের জন্য রণবীর নিজেকে সঁপে দিয়েছিল। আমি নিজে ওর সঙ্গে কপিলের বাড়িতে, অফিসে, বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর সময় কাটিয়েছি। রণবীর খুব ভাল পর্যবেক্ষণ করতে পারে। কপিলের থেকে অনেক টিপস পেয়েছে। পাজির হাসি, কথা বলার ভঙ্গিমা, হাঁটা-চলা, শরীরী ভাষা, বোলিং, ব্যাটিং, ড্রেসিং সেন্স সমস্ত কিছু নিখুঁতভাবে আয়ত্ত করেছে। এক কথায় রণবীর অসাধারণ। তাই এই ছবি দেখার সময় আমরা কপিল দেবকেই দেখব, রণবীর সিংকে নয়।”
শেষে বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ভারতীয় ফাস্ট বোলারের বক্তব্য, ‘‘আমাদের কাছে গর্বের মুহূর্ত যে কেউ ১৯৮৩ বিশ্বকাপে আমাদের সাফল্য নিয়ে ছবি তৈরি করেছে। আমরা দেশকে গৌরবান্বিত করেছিলাম। কবির খানরা আমাদের সম্মানিত করেছেন এই ছবি তৈরি করে।”