বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলভীবাজারে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে। ১৫ বছরের ওই কিশোরীর উপর একাধিক বার যৌন নির্যাতন করেন তিনি। নির্যাতনের কথা নিজের মাকে জানিয়েছিল ওই কিশোরী। সব জেনেও প্রতিবাদ করে নি মা। উল্টে ঘটনার কথা কাউকে জানাতে বারণ করেন তিনি। পরিবারের থেকে সাহায্য না পেয়ে, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কিশোরী কাঁদতে কাঁদতে নিকটস্থ থানায় যায়। থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে ধর্ষণের ঘটনার কথা জানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে । ঘটনার মূল অভিযুক্ত এবং জড়িত থাকায় অভিযুক্ত মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-অস্ট্রেলিয়ায় খুন হল ভারতীয় তরুণী, ছেলে নিয়ে ফিরে এল স্বামী
ধর্ষণে অভিযুক্ত এলাকার এক রাজনৈতিক নেতা। তিনি বাংলাদেশের শাসকদলের বেশ ঘনিষ্ঠ। তাঁর বাড়িতে কয়েক মাস আগে থেকে গৃহ সহায়িকার কাজ করছিলেন নির্যাতিতা কিশোরীর মা। মায়ের কাজে সহায়তার জন্য ১৫ বছরের কিশোরীও যেত নেতার বাড়ি। রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে এই সুযোগ নিয়েই নাবালিকা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নিজের মাকে সব জানিয়েছিল নির্যাতিতা। কিন্তু তিনি কোনরকম ব্যবস্থা না নিয়ে চুপ থাকতে বলেছিলেন। নেতার বাড়িতে কাজে যাওয়া বন্ধ করেন ওই কিশোরী। কিন্তু তাঁকে কাজে আসতে বাধ্য করা হয়। এর পর আবার কিশোরীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। তার পরও মা কিছু না বলায় নিজেই থানায় যান কিশোরী।
আরও পড়ুন-বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেঝেতে অধ্যাপক ও তাঁর মেয়ের গলাকাটা দেহ
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। পুলিশি জেরায় নির্যাতিতার মা জানান অভাবের কারণেই নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি তিনি। মুখ খুললে বিপদ হতে পারে ভেবেই তিনি চুপ থেকেছেন।