প্রতিবেদন : মুড়িগঙ্গা নদীতে ভাটা পড়তেই দেখা মিলল বিশালাকৃতির নীল তিমির (blue whale)। প্রথমে সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপের চড়ায় ওই প্রাণীটিকে দেখতে পাওয়া যায়। এরপরই গ্রামবাসীদের মধ্যে হুলুস্থুল পড়ে যায়। প্রাণীটিকে দেখতে তাঁরা চড়ায় এসে ভিড় জমান। পরে প্রায় ১৫ জন মিলে তিমিটিকে গড়িয়ে গড়িয়ে নদীর দিকে নিয়ে যায়। পরে নদীতে চলে গেলে গায়ে জল লাগতেই প্রাণীটি আবার নদীতে চলে যায়। আবার কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবকালীনগর এলাকায় দেখা যায় প্রায় ২০ ফুটের ওই নীল তিমি। অতীতে কখনও এই এলাকায় দেখা যায়নি। মুড়িগঙ্গা নদীতে এই বিশালাকৃতির তিমি (blue whale) কোথা থেকে এল তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে। এমনকী এই নদীতে এত বড় প্রাণী দেখার পর থেকেই মৎস্যজীবী মহলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদিও গ্রামবাসীদের অনুমান, ওই সামুদ্রিক প্রাণীটি অসুস্থ থাকার কারণে উপকূলে চলে এসেছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপের শিবকালীনগর এলাকায় আবারও একটি খাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে ওই নীল তিমি আর যা দেখার জন্য ভিড় জমান এলাকার মানুষজন। পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনদফতরের আধিকারিকেরা। প্রধানত এরা পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর ভারত মহাসাগর এই অংশেই বেশি দেখতে পাওয়া যায়। কোনওভাবেই গঙ্গাসাগর ঘোড়ামারা অথবা কাকদ্বীপে এই নীল তিমি থাকার কথা নয়।
আরও পড়ুন- চোখ রাঙাচ্ছে নতুন ভাইরাস
বিশেষজ্ঞদের মতে— নয় ওই নীল তিমিটি দলছুট হয়ে পড়েছে অন্যথায় লবণাক্ত জলের তারতম্যের কারণে কোনওভাবে সুন্দরবনের এই অংশে ঢুকে এসেছে। অবশেষে গভীর রাতে বনদফতরের আধিকারিক ও কাকদ্বীপ প্রশাসন আধিকারিক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ অন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ওই তিমি মাছটিকে উদ্ধার করে জালের মধ্যে আটকে জলের মধ্যে দিয়ে লঞ্চে বেঁধে গভীর সমুদ্রে ছাড়ার ব্যবস্থা করেন।