সুস্মিতা মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার: শিশুর শ্বাসনালিতে আটকে ছিল উল্টে থাকা খোলা সেফটিফিন। বাইরে বের করা ঝুঁকিপূর্ণ। পেটে চলে গেলেও বিপদ। মাইক্রোসার্জারির মাধ্যমে শিশুর শ্বাসনালি থেকে খোলা সেফটিফিনটি বের করলেন ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (Diamond Harbour Medical College and Hospital) ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক দল। প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট সময় লেগেছে এই সার্জারি করতে। চারজন চিকিৎসকের একটি দল এই সফল সার্জারি করেন। ঝুঁকিপূর্ণ এই সার্জারি সফলভাবে করায় হাসপাতালের তরফে চিকিৎসক দলকে বিশেষ অভিনন্দন জানানো হয়েছে। রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের রুদ্রনগরের বাসিন্দা দু’বছর আট মাসের সৌরনীল জানা বাড়িতে বয়সে বড় দিদির সঙ্গে খেলছিল। সেইসময় মশারিতে লাগানো একটি সেফটিফিন নিয়ে গিলে নেয় শিশুটি। বড় দিদি সব দেখে পরিবারের সদস্যদের জানায়। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু রেফার করে দেওয়া হয়। বিকেলে শ্বাসনালিতে খোলা সেফটিফিন আটকে থাকা অবস্থায় ভর্তি করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে (Diamond Harbour Medical College and Hospital)। ভর্তির পরেই তৎক্ষণাৎ এক্সরে করে দেখা যায়, শিশুটির শ্বাসনালিতে আটকে আছে খোলা সেফটিফিনটি। শিশুর চিকিৎসার জন্য ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক দীপ্তেন পাল, সোহম ব্যানার্জি, অর্ণব সরকার ও রূপম জানাকে নিয়ে একটি টিম তৈরি করা হয়। এরপর মাইক্রোসার্জারির মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ সার্জারি সফল হয়। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি আছে। তবে এখন অনেক সুস্থ। স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করছে। চিকিৎসক দীপ্তেন পাল বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে একটু ভুল হলে শিশুটির প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারত। কারণ সেফটিফিনটি খোলা ও উল্টানো অবস্থায় ছিল। কিন্তু আমরা সফলভাবে বের করতে পেরে চিকিৎসক হিসেবে খুব খুশি।’’ সুস্থ অবস্থায় ছেলেকে পেয়ে খুশি শিশুটির বাবা-মা। তাঁরা চিকিৎসকদের ভগবানের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
আরও পড়ুন: আজ মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতির শপথ