সংবাদদাতা, পূর্বস্থলি,: দুর্গাপুর ও বিষ্ণুপুর : বৃহস্পতিবারই সূচনা হয়ে গেল নবদ্বীপ সংলগ্ন পূর্বস্থলি ১ ব্লকের শ্রীরামপুর, বিদ্যানগর, নাদনঘাট, জাহাননগর, সমুদ্রগড় প্রভৃতি এলাকায় রাস উৎসব। শ্রীরামপুরের সূর্য সংঘের মহিলা পরিচালিত উৎসবের সূচনা করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। মহিলারা জানান, সারা বছর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা জমিয়ে উৎসব করেন। থিম মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। শ্রীরামপুরের বিভিন্ন গ্রামের রাসের থিম, মণ্ডপ, প্রতিমা ও আলোকসজ্জা নবদ্বীপের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। দর্শনার্থীদের ঢল নামে। সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখানকার উল্লেখ্য ঘোষপাড়ার অন্নপূর্ণা মাতার পুজো, ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের রণচণ্ডী মাতা, মধ্যপাড়ার মহিলা পরিচালিত কমলেকামিনী মাতা, উত্তর শ্রীরামপুরের অমরভারতী ক্লাবের গণেশজননী ইত্যাদি।
খনি শিল্পাঞ্চলে বেশ কয়েক দশক আগে থেকেই শুরু হয়েছে শ্রীকৃষ্ণের রাসযাত্রা উৎসব।
আরও পড়ুন : এমপি ল্যাডের টাকা আটকে , উন্নয়ন রুখছে কেন্দ্র
অণ্ডালের উখরায় শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্যমণ্ডিত শ্রীশ্রী গোপীনাথ জিউর রাসযাত্রা উৎসব ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। উখরার ঝুলন উৎসবের মতোই রাসেও দেখা যায় প্রচুর লোক। অণ্ডালের খান্দরাতে বাড়তি উন্মাদনা চোখে পড়ে। নবচেতনা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এবং লাভার্স গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে রাস উৎসব পালিত হচ্ছে কয়েক বছর ধরে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় মহিলারা কলসযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। আজ থেকে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব শুরু। মল্ল রাজার আমল থেকেই মদনমোহন, মদন, গোপাললাল , লালকৃষ্ণ জিউয়ের রাস উৎসবের গভীরতা অনুভব করা যায় রাসমঞ্চ দেখে। রাজাদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন বিষ্ণুপুরবাসী। আজও তাঁদের সব ঠাকুর ৫ দিন এক জায়গায় এনে চলে রাস। মাধবগঞ্জ, বাহাদুরগঞ্জ ও কৃষ্ণগঞ্জে পাঁচ দিনের রাস উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বসে মেলাও।