রোজই বেশ বদল, জগন্নাথের আপ্যায়নে তৈরি মাসির বাড়ি

Must read

সংবাদদাতা, দিঘা : গাছে গাছে ফুল ফুটেছে। রঙিন আলো সেজে উঠেছে গোটা চত্বর। দিঘার জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি যেন এখন কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন। রংবাহারি ফুল ও বর্ণিল আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা বাড়ি। জগন্নাথের আগমনের প্রহর গোনা শুরু।
দিঘার মাটিতে এই প্রথম জগন্নাথ ভাই-বোনেদের সঙ্গে নিয়ে যাবেন মাসির বাড়ি। আপ্যায়নে খামতি নেই। উল্টো রথ পর্যন্ত থাকছে এলাহি আয়োজন। খাবার-দাবার থেকে বেশভূষায় থাকছে আকর্ষণ। দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের মাসির বাড়ি কমিটি জানিয়েছে, রোজ জগন্নাথের পুজো পাঠের জন্য থাকছেন ১০ জন পুরোহিত। সেখানে বিভিন্ন বেশ ধারণ করবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। কখনও মৎস্য বেশ, আবার কখনও পদ্মবেশ। সেজন্য ইসকনের তরফ থেকে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত দুজনকে। তারা প্রত্যেকদিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বেশ বদল করবেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা ইসকন থেকে তুলোর তৈরি এইসব পোশাক দিঘায় এসে পৌঁছেছে। ভোজনবিলাসে রোজই দেওয়া হবে ৫৬ ভোগ। স্পেশালভাবে বানানো হবে পায়েস। সেজন্য তিনজন পাচক ঠাকুর নিযুক্ত। এছাড়াও যাবতীয় রান্নার জন্য থাকছেন আরও ৯জন পাচক। মাটির উনুনে প্রত্যেকদিন রন্ধন হবে। জগন্নাথকে মাটির ভাঁড়ে ৫৬ ভোগ অর্পণ করার পর ভোগ বিতরণ করা হবে কয়েকশো মানুষকে। চলবে অন্নমহোৎসব। ভক্তদের মেনুতে থাকছে ভাত, ডাল, সবজি, পায়েস ও চাটনি। উল্টো রথের দিন প্রায় দশ হাজার ভক্তকে জগন্নাথের অন্নপ্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রথ রাখার জায়গায় দমকলের তরফ থেকে দফায় দফায় জল ঢেলে পরিষ্কার করা হচ্ছে। বন দফতরের সামনের পার্কে গাছে গাছে পড়েছে চুনের প্রলেপ। বসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রীর দোকান। রথযাত্রা মানে পাঁপড় ভাজা ও জিলিপি। রোজই মাসির বাড়িতে চলবে নাম গানের ব্যবস্থা। সেজন্য জেলার সাতটি কীর্তনের দলকে অগ্রিম বুকিং করা হয়েছে। সামনেই অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে চলবে নাম গান। মাসির বাড়ির সেবায়েত রাজা প্রামাণিক বলেন, আমাদের ৫৬ ভোগে অন্যতম আকর্ষণ পায়েস। থাকছে স্পেশাল উপকরণ। প্রত্যেকদিন জগন্নাথের বেশ বদল করা হবে।
দিঘার এই জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করেছে হিডকো। যার মাথায় থাকছে চক্র এবং সামনে জগন্নাথের টীকা। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাসির বাড়ি ঘুরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাসির বাড়ি কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলেন। মাসির বাড়ি মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি সুশীল প্রধান বলেন, জগন্নাথ বছরে একবার মাসির বাড়ি আসবেন। তাই সবকিছুই স্পেশাল।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল ডেটা সুরক্ষা আইন থেকে পেশাগত কাজ বাদ রাখার দাবি জানালেন মিডিয়াকর্মীরা

Latest article