আষাঢ়ের শুক্ল দ্বাদশীর দিন নিজের মন্দির ছেড়ে মাসির বাড়ি যান প্রভু জগন্নাথ। এটাই হল রথযাত্রা। সাতদিন থাকার পর আবার ফিরে আসেন। অবশ্য এই নিয়ে ভিন্ন মতও রয়েছে। রথের আরাধ্য দেবতার রূপ যেমনই হোক না কেন, ভক্তের কাছে তা ভালবাসার, নির্ভরতার ও আত্মনিবেদনের। রথযাত্রা আসলে আপামর বাঙালির কাছে এক আনন্দযাত্রা। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় বসে মেলা। মেলা মানেই মহামিলন। মানুষের পাশে মানুষ। যার মূল সুর সর্বধর্ম সমন্বয়। তাই রথযাত্রার ‘যাত্রা’ শুধুই দেবতার নয়, ভক্তদেরও।
আরও পড়ুন-মোহনবাগানে অভিষেক, ইস্টবেঙ্গলে হামিদ-কেভিন, লাল-হলুদে গোলকিপার কোচ সন্দীপ
আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আয়োজিত হয় রথযাত্রা উৎসব। তবে এবছরই প্রথম রথের রশিতে টান পড়েছে দিঘায়। নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির থেকে বের হয়েছে সুসজ্জিত রথ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জগন্নাথদেবের আরতি করেছেন। এরপর রথে চড়ে জগন্নাথদেব রওনা দিয়েছিলেন মাসির বাড়ির উদ্দেশে। আর সে রথযাত্রা দেখার জন্য সৈকত শহরে উপচে পড়েছিল ভিড়। সব মিলিয়ে প্রথমবারের জন্য হলেও দিঘার জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব হইচই ফেলে দিয়েছে দেশ জুড়ে। উন্মাদনা ছুঁয়ে গেছে সর্বস্তরের মানুষকে। বাংলার মুকুটে যোগ হয়েছে নতুন পালক।
একইসঙ্গে রাজ্যের কিছু জায়গায় রথযাত্রা আবার বহু প্রাচীন। তেমনই কিছু সুপ্রাচীন রথযাত্রার ইতিহাস ছুঁয়ে দেখা যাক।
মাহেশের রথ
সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রাধারাণী’ উপন্যাসে পাওয়া যায় মাহেশের রথযাত্রার উল্লেখ। হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের ঐতিহ্যবাহী এই রথযাত্রার ইতিহাস প্রায় ৬০০ বছরের। জানা যায়, সাধক ধ্রুবনন্দ ব্রহ্মচারী এখানে জগন্নাথ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। জনশ্রুতি অনুযায়ী, স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে গঙ্গায় ভেসে আসা নিমকাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল দেবতার মূর্তি। শ্রীচৈতন্যদেব মাহেশের নামকরণ করেছিলেন ‘নব নীলাচল’। এখানে রথযাত্রার সূচনা হয়েছিল শ্রীচৈতন্যের শিষ্য কমলাকার পিপলাইয়ের হাত ধরে। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, মা সারদা, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, রানি রাসমণি-সহ বহু মনীষীর আগমন ঘটেছে এখানে। ১৭৫৫ সালে কলকাতার নয়নচাঁদ মল্লিক মাহেশে নতুন জগন্নাথদেবের মন্দির তৈরি করেন। যা আজও বর্তমান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রথেরও পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান রথটির উচ্চতা ৫০ ফুট। ওজন ১২৫ টন। আছে ১২টি লোহার চাকা, ৯টি চূড়া এবং দুটি তামার ঘোড়া। রথযাত্রা উপলক্ষে স্নানপিঁড়ি ময়দানে একমাস ধরে বসে জমজমাট মেলা।
মায়াপুরের রথ
নদিয়া জেলার মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের রথযাত্রা বহু প্রাচীন। এখানে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রথে চড়েন। প্রচলিত কাহিনি অনুসারে, মায়াপুরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম ছিল রাজাপুর। এই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই বৈষ্ণব। প্রায় পাঁচশো বছর আগে এক পুরোহিত স্বপ্ন দেখেন যে, রাজাপুর থেকে মায়াপুরে প্রস্থান করবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। পরে সেখান থেকে রথে চড়ে ফিরে আসবেন। এই প্রথা অনুসারে প্রতিবছর মায়াপুর ও রাজাপুর গ্রামে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। পরে ইসকনের কাছে হস্তান্তর করা হয়, যার সদর দফতর মায়াপুরে অবস্থিত। এখানে রথের সময় পুরী থেকে আনা হয় বলরামের রথের চাকা। সেটা দেখার জন্য প্রচুর লোকসমাগম হয়।
মহিষাদলের রথ
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল। এখানকার রথযাত্রা সুপ্রাচীন। আয়োজিত হয় রাজ পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায়। ১৭৭৬ সালে মহিষাদলের রানি জানকী দেবী এই রথযাত্রার সূচনা করেন। রথের উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। ধ্বজা এবং কলস দিয়ে সাজানো হলে ৫০ ফুটের বেশি হয়ে যায়। আগে ছিল সতেরো চূড়া। বর্তমানে কমে তেরো চূড়া। চাকার উচ্চতা ৪ ফুট। বেধ ৮ ইঞ্চি। পরিধি ১২ ফুট। রথের কারুকার্য অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। চোখ ফেরানো যায় না। দেশীয় শিল্পীর পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি শিল্পীর ছোঁয়া। রথটি মূলত মদনগোপাল জিউ-এর রথ নামে পরিচিত। তাঁর সঙ্গে থাকেন জগন্নাথ ও রাজবাড়ির শালগ্রামশিলা শ্রীধর জিউ। রথ উপলক্ষে বসে জমজমাট মেলা।
আরও পড়ুন-সপ্তাহান্তে ফের মেট্রো-বিভ্রাট
গুপ্তিপাড়ার রথ
১৭৪০ সালে হুগলির গুপ্তিপাড়ায় রথযাত্রা উৎসবের সূচনা করেন মধুসূদানন্দ। এই বিশেষ দিনটিতে প্রায় ৪০ কুইন্টাল খাবার ভক্তদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া হয়। প্রথাটি আজও প্রচলিত রয়েছে। রথের উচ্চতা ৩৬ ফুট। এখানে শাক্ত ও বৈষ্ণব— উভয় ধর্মাবলম্বী মানুষ থাকেন। শোনা যায় ১৮৭৩ সালের আগে গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দির থেকে ১২ চাকার রথ বের করা হত। কিন্তু ১৮৭৩ সালে এক দুর্ঘটনার পর থেকে সেই রথের চাকার সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। রথের সময় দূর-দূরান্তের বহু মানুষ আসেন।
বিষ্ণুপুরের রথ
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের রথ আনুমানিক ৩৫০ বছরের প্রাচীন। ১৬৬৫ সালে বিষ্ণুপুরের মল্লরাজা বীরহাম্বির রানি শিরোমণি দেবীর ইচ্ছানুসারে মাধবগঞ্জে পাথরের পাঁচচূড়া মন্দির নির্মাণ করেন। মন্দিরের বিগ্রহ রাধামদন গোপাল জিউ। এই মন্দিরের অনুকরণে তৈরি হয় পিতলের রথ। মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরে এই রথযাত্রা উৎসবকে ঘিরে উন্মাদনায় মেতে ওঠেন সাধারণ মানুষ। রথে সওয়ার হন রাধামদন গোপাল জিউ।
আমোদপুরের রথ
আমোদপুরের রথযাত্রা বহু প্রাচীন। রথযাত্রার দিন সকালে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি অঞ্চলে জমিদার পরিবারের জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম এবং কুলদেবতা রাধামাধব রথে চড়ে দুর্গাবাড়ি যান। তারপরে সারা গ্রাম প্রদক্ষিণ করেন। আমোদপুরের রথযাত্রার একটি রাজকীয় ব্যাপার রয়েছে। স্থানীয় প্রথা অনুসারে, রথের চাকা থেকে মাটি নেওয়া হয়, যা পরবর্তীকালে দুর্গাপ্রতিমা গড়ার সময় কাজে ব্যবহার করা হয়।
বড়িশার রথ
১৭১৯ সালে বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের রথযাত্রা শুরু করেন রায় কৃষ্ণদেব মজুমদার চৌধুরী। সেকালে ন’টি চূড়াবিশিষ্ট রথে শালগ্রামশিলা নিয়ে যাওয়া হত বেনাকি বাড়িতে। পরে ১৯১১ সালে বড়বাড়িতে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের বিগ্রহ ও একটি ত্রিতল রথ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৩৪ থেকে বিগ্রহগুলিকে রথের সময় হীরালাল বসুর বাড়ি বা মাসির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৮৪ সালে সর্বজনীন সহযোগিতায় নতুন রথ তৈরি করা হয়। তবে পুরনো রথের কাঠামো ও লোহার চাকাগুলি আজও অপরিবর্তিত রয়েছে।
বউবাজারের রথ
প্রায় ১২৪ বছর আগে বউবাজার অঞ্চলে গোবিন্দ সেন লেনে জগন্নাথ বিগ্রহ ও রথ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চুনিমণি দাসী। পাঁচটি চূড়াবিশিষ্ট ত্রিতল এই রথে সাবেক শিল্পরীতির নমুনা দেখা যায়। রথের চারদিকে আছে চারটি পুতুল। রথের গায়ে আঁকা আছে দেবদেবীর ছবি। বিগ্রহের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত শালগ্রামশিলা। স্নানযাত্রার পরে হয় বিগ্রহের অঙ্গরাগ। আগে রথের দিন ও উল্টোরথের দিন রাস্তায় রথ বেরত। এখন রথ আর রাস্তায় বেরোয় না। বাড়ির উঠোনেই টানা হয়। রথযাত্রা উপলক্ষে আজও জগন্নাথের রাজবেশ এবং বামনবেশ হয়। এই সময় প্রতিদিন বিশেষ ভোগও দেওয়া হয়। তার মধ্যে থাকে খিচুড়ি, পোলাও, লুচি, চচ্চড়ি, মালপোয়া, গজা, রসগোল্লা ইত্যাদি। এখনও প্রতি বছর পুরী থেকে পান্ডারা আসেন রথ উপলক্ষে।
সিহারসোলের রথ
পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ। অঞ্চলটি বিখ্যাত কোলিয়ারি বা কয়লা খনির জন্য। রানিগঞ্জের সিহারসোলে আছে বহু পুরনো রাজবাড়ি। এই রাজবাড়ির স্কুলের ছাত্র ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ১৮৭৭ সালে রানি হরসুন্দরী দেবীর উদ্যোগে সিহারসোলে তৈরি হয় কাঠের রথ। একটা সময় রথটি আগুনে পুড়ে যায়। পরে ১৯২৩ সালে রাজ পরিবারের প্রমথনাথ মালিয়ার উদ্যোগে তৈরি হয় সুদৃশ্য পিতলের রথ। কেমন দেখতে রথটি? ৯টি চূড়া। উচ্চতা তিরিশ ফুট। তিনতলা। সামনের দিকে প্রথম তলে আছে প্রবেশপথ। ভেতরে গা-বরাবর সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠা যায়। রথের গায়ে স্থায়ীভাবে সাজানো রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত, পৌরাণিক, কৃষ্ণলীলা-বিষয়ক নানা মূর্তি। যেমন, জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা, কালী, সিংহবাহিনী, অন্নপূর্ণা, বিষ্ণু, সীতাহরণ, রাধাকৃষ্ণ, জগাই-মাধাই, গৌর-নিতাই, বিষ্ণুর দশাবতার, দক্ষিণাকালী, বকাসুর বধ, কালীয় দমন, রাম-সীতা-রাবণ প্রভৃতি। রথযাত্রার দিন রথের সামনের দিকে সাজানো হয় দুটি ঘোড়া, সারথি ইত্যাদি। তারপর বসানো হয় গৃহদেবতা দামোদরচন্দ্রকে। সোজা রথের দিন নতুন রাজবাড়ি থেকে রথ নিয়ে যাওয়া হয় পুরনো রাজবাড়িতে। উল্টোরথের দিন আবার ফিরিয়ে আনা হয়। রথযাত্রা উপলক্ষে বসে জমজমাট মেলা।
আরও পড়ুন-গিলকে ৩ বছর সময় দিন, পাশে শাস্ত্রী
মুন্সিরহাটের রথ
হাওড়ার মুন্সিরহাটের পার্বতীচরণ কুণ্ডু পরিবারের রথ একশো বছরের বেশি পুরনো। তিনি ১৯০৯ সালে রথযাত্রা শুরু করেছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, বছরের এই সময়ে পারিবারিক দেবতাকে রথে চড়ানো উচিত। পারিবারিক রথ হলেও, এই রথযাত্রার অপেক্ষায় থাকেন এলাকার মানুষেরা। ২৬ ফুট লম্বা রথটি কুণ্ডু বাড়ি থেকে চাঁদনি মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আবার চিন্তামণি প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। দিনের শেষে দেবতা মন্দিরে ফিরে আসেন।
দর্জিপাড়ার রথ
প্রায় দুশো বছর ধরে দর্জিপাড়ায় রাজকৃষ্ণ মিত্রের বাড়িতে হয়ে আসছে কুলদেবতা রাজরাজেশ্বরের রথযাত্রা। বাড়ির সকলে রথের দিন চামর দিয়ে বাতাস করতে করতে তিনবার রথকে প্রদক্ষিণ করেন। পুজোয় করবী ফুল দিয়ে হোম করা হয়। এই উপলক্ষে দেওয়া হয় হরির লুঠ। রথের আর এক ঐতিহ্য ইলিশবরণ। নোড়ার উপর জোড়া ইলিশ রেখে ছোট মাছটির মাথায় সিঁদুর দেওয়া হয়। পরে ধান-দূর্বা দিয়ে মাছ দুটিকে বরণ করা হয়।
কোচবিহারের রথ
কোচবিহার রাজ পরিবারের মদনমোহন মন্দিরের ইতিহাস বহু প্রাচীন। মন্দিরে রথযাত্রার সূচনা হয় ১৮৯০ সালে। এই রথযাত্রার একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। রাজ আমলে মদনমোহন মন্দিরের স্থাপনের সময় থেকেই এই রথে অধিষ্ঠিত হন মদনমোহন দেব ও শালগ্রামশিলা। এটাই রীতি। প্রচুর লোক সমাগম হয়।
নৈহাটির রথ
নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গৃহদেবতা বিজয় রাধাবল্লভ জিউর রথযাত্রা আজও সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে। ১৮৬২ সালে রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্রের দাদা শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন তমলুকের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। সেখানে থাকাকালীন স্থানীয় কারিগরদের দিয়ে একটি রথ তৈরি করিয়েছিলেন। সেই রথ রূপনারায়ণ এবং গঙ্গা-যোগে নৈহাটির ঘাটে নৌকা করে নিয়ে আসা হয়েছিল। রথটি উৎসর্গ করা হয়েছিল বঙ্কিমচন্দ্রের মা দুর্গাসুন্দরী দেবীর নামে। তিনি সবার আগে রথের রশিতে টান দিতেন। আজও প্রথা অনুসারে রথে ওঠেন রাধাবল্লভ ও বলরাম।
আরও পড়ুন-বিজেপির সম্পাদক ওড়িশায় ডাকাতি করতে গিয়ে সোনা-সহ পুলিশের জালে
কাঁচরাপাড়ার রথ
উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলার সংযোগস্থল কাঁচরাপাড়ার রথতলার কৃষ্ণরাই-এর রথযাত্রা বিশেষ ঐতিহ্যপূর্ণ। শোনা যায়, কৃষ্ণরাই বিগ্রহটি বহু প্রাচীন। পুরনো মন্দিরটি নদীগর্ভে বিলীন হলেও, এখানকার জমিদার বীরেশ্বর নন্দীর পরিবারের কোনও এক পূর্বপুরুষ স্বপ্নাদেশ পেয়ে একটি কাঠের রথ তৈরি করেন। কোনও এক সময় সেই রথটি অপবিত্র হয়ে যাওয়ায় লোহার একটি রথ তৈরি করা হয়। আজও এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের সমাগম হয়। বসে জমজমাট মেলা।