তারাপীঠে রথযাত্রা বিশেষ পুজো আজ

মা তারাকে বেনারসি শাড়ি পরিয়ে শৃঙ্গার বেশে অপরাজিতা ফুল ও রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে সাজিয়ে সুসজ্জিত রথে আরোহণ করানো হয়।

Must read

সংবাদদাতা, তারাপীঠ : তারাপীঠে রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে বিশেষ পুজো হবে। বেলা তিনটা নাগাদ চিঁড়ে, ফলমূল দিয়ে মায়ের পাঁচরকম ভোগ। এদিন মাকে জিলিপি ভোগও দেওয়া হয়। মা তারাকে বেনারসি শাড়ি পরিয়ে শৃঙ্গার বেশে অপরাজিতা ফুল ও রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে সাজিয়ে সুসজ্জিত রথে আরোহণ করানো হয়। মূল ফটক থেকে উত্তর মুখ অভিমুখে পরিক্রমা করিয়ে তিনমাথা মোড় হয়ে ফের মূল মন্দিরে আনা হয়। তারামাতা সেবায়েত মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, তারাপীঠে রথে থাকেন না বলরাম, সুভদ্রা ও জগন্নাথ। রথে অধিষ্ঠাত্রী থাকেন শুধু মা তারা।

আরও পড়ুন-বেলপাহাড়ির কানাইসর পাহাড়পুজোয় লক্ষাধিক মানুষের ভিড়

তারাপীঠের রথযাত্রা কবে থেকে শুরু হয়েছিল তার দিনক্ষণ এখন আর তেমন কারও মনে নেই। তবে মন্দিরের সেবাইত, সাহিত্যিক প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই থেকে জানা যায়, তারাপীঠের বিখ্যাত সাধক দ্বিতীয় আনন্দনাথ তারাপীঠের রথের প্রচলন করেছিলেন। সেই সময় একটি পিতলের রথ তৈরি করা হয়। সেই রথেই আজও মা তারাকে চড়ানো হয়। তারা মায়ের একটি রথ ঘর রয়েছে। যুক্তফ্রন্টের আমলে ওই রথ ঘরের উদ্বোধন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়। সারা বছর ওই রথ ঘরেই পিতলের রথকে সংরক্ষিত রাখা হয়। রথ ঘরটি নির্মাণ করেন জনৈক মা তারার ভক্ত আশালতা সাধুখাঁ। প্রাচীন রীতি মেনে মা তারাকে ওই রথে বসিয়ে ঘোরানো হল তারাপীঠে। মা তারাকে মূল মন্দির থেকে বের করে রথে বসানো হয়। সাজানো হয় রাজবেশে। তারপরই হাজার হাজার পুণ্যার্থী রথের রশিতে টান দেন। প্রতি বছর মা তারাকে রথে চড়িয়ে তারাপীঠ প্রদক্ষিণ করিয়ে সন্ধ্যা আরতির আগে মূল মন্দিরে বসানো হয়। এই রথ থেকে ভক্তদের উদ্দেশে প্যাড়া, বাতাসা বিতরণ করা হয় হরির লুটের মতো করে।

Latest article