প্রতিবেদন : রেশন গ্রাহকদের চোখের রেটিনা স্ক্যান করে আধার নম্বর যাচাই করার প্রক্রিয়া আগামী মাস থেকেই রাজ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হচ্ছে। রাজ্য খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি জেলা এবং শহরাঞ্চলে বিধিবদ্ধ রেশনিং এলাকায় পাঁচটি করে দোকানে পাইলট প্রকল্প হিসাবে তা চালু হবে। সেক্ষেত্রে গোটা দেশের মধ্যে এরাজ্যেই প্রথম এই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। রেশনের গ্রাহকদের আধার নম্বর যাচাই করতে চালু বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ বা নথিভুক্ত মোবাইলে আসা ওটিপি নেওয়া হয়। তবে গ্রাহকের বয়স সহ নানা কারণে এভাবে আধার যাচাই করতে গিয়ে প্রায়ই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আধার যাচাইয়ের বিকল্প এই নতুন ব্যবস্থা চালু হলে এই হয়রানি কমবে বলে রাজ্যের খাদ্য দফতরের কর্তারা আশাবাদী।
আরও পড়ুন-মেসি ৭০০, ছুঁয়ে ফেললেন রোনাল্ডোকে, লা লিগায় অপ্রত্যাশিত হার বার্সেলোনার
রাজ্য সরকার ২১ হাজার রেশন দোকানকে দ্রুত এই ব্যবস্থার আওতায় আনতে চায়। তাঁদের আরও আশা, এই ব্যবস্থা লাগু হয়ে গেলে রাজ্যে রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় বাড়বে স্বচ্ছতাও। জানা গিয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় অর্থাৎ রেশন গ্রাহকদের চোখ স্ক্যান করে আধার নম্বর যাচাই ব্যবস্থা লাগু করার জন্য রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত কোনও খরচ হবে না। এই ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থা মেশিন বসানোর খরচ বহন করবে। খাদ্যশস্যের পরিমাণের ওপর তারা নির্ধারিত হারে কমিশন পাবে।
আরও পড়ুন-ভারত সফরে আসছেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট
তবে এই ব্যবস্থা লাগু হওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। তিনি জানিয়েছেন, আই স্ক্যানার ব্যবহারে কোনও প্রশিক্ষণ এখনও ডিলারদের দেওয়া হয়নি। প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সুবিধা-অসুবিধা বোঝা যাবে। তবে এখন বহু গ্রাহকের আধার যাচাই করতে সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-আত্তীকরণ সূত্রে সমৃদ্ধি অর্জন
রাজ্য খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন ৯৫ শতাংশর বেশি ক্ষেত্রে গ্রাহকদের আধার যাচাই করা হচ্ছে। আই স্ক্যানারে আরও কাজের সুবিধা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারও আই স্ক্যানার এবং ই-পস মেশিনের সঙ্গে ওজন যন্ত্র চালু করতে বলছে। তবে কিছু মডেল দোকানে নতুন ব্যবস্থা চালু হোক এটা চাইছে কেন্দ্র।