বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প দুয়ারে রেশন সাধারণ মানুষের বহু কষ্ট লাঘব করে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু অর্থ সাশ্রয়ও করেছে। রাজ্যের সব জায়গায় যেখানে রেশন ডিলাররা বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিচ্ছিলেন, সেখানে আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা পাহাড়ের প্রায় ১৩টি গ্রামের বাসিন্দাদের রেশন সংগ্রহ করতে পাহাড়ের দুর্গম এলাকা থেকে নেমে আসতে হত সন্তালাবাড়িতে। আর এই কারণে রেশন সংগ্রহ করতে প্রায় সারাদিনই নষ্ট হত বক্সা পাহাড়ের প্রায় প্রতিটি গ্রামের বাসিন্দাদের। এই নিয়ে প্রচণ্ড সমস্যায় ছিলেন তারা।
আরও পড়ুন-বিচারপতিদের সম্পত্তির তথ্য প্রকাশ শুরু হল, স্বচ্ছতার উদ্যোগ সুপ্রিম কোর্টের
প্রায় এক সপ্তাহ আগে এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন বক্সা পাহাড়ের বেশ কিছু বাসিন্দা। এরপরেই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসকের দফতর থেকে ওই অভিযোগ পাঠানো হয় জেলা খাদ্য নিয়ামক সুব্রত নন্দীর কাছে। তিনি অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারকে নির্দেশ দেন বক্সা পাহাড়ের প্রতিটি গ্রামের মানুষকে ঠিকভাবে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দিতে। তাঁর নির্দেশ মতো এই সপ্তাহ থেকেই পাহাড়ের গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাবে রেশন। এই বিষয়ে জেলা খাদ্যনিয়ামক সুব্রত নন্দী জানান, সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারকে সতর্ক করে সঠিকভাবে সরকারি নিয়ম মেনে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।