সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পর্যটনশিল্পে এসেছে নতুন ভোর। এবার এই পর্যটনকে ঘিরেই নতুন স্বপ্ন দেখছেন ডুয়ার্সের রাভাবস্তির বাসিন্দারা। পাহাড়, জঙ্গল, নদী, বণ্যপ্রাণীর টানে বারবার পর্যটকেরা ছুটে আসেন ডুয়ার্সে। আর সেই পর্যটকদের কথা ভেবেই এবার ডুয়ার্সের বনবস্তি এলাকায় গড়ে তোলা হচ্ছে হোমস্টে। নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে পর্যটন ব্যবস্থা। নয়া পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সেজে উঠছে তোতাপাড়া জঙ্গল লাগোয়া মগোলকাটা রাভা বস্তি।
আরও পড়ুন-আসানসোল নিয়ে তদন্ত কমিটি
এই পর্যটনকে কেন্দ্র করেই আলোর সন্ধান পাচ্ছেন বাসিন্দারা। এই এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নানাই নদী। এই নদীর পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে এই বস্তিগুলি। সঙ্গে রয়েছে জঙ্গলের অপূর্ব শোভা। এখানে বেড়াতে এসে পর্যটকরা অনায়াসেই দেখতে পান হাতি, ময়ুর, বাইসন, হরিণ-সহ অন্যান্য বন্য জন্তু। রাভা জনজাতির মানুষদের পর্যটন দফতর থেকে ট্রেনিং দিয়ে হোমস্টে করার সরকারি অনুমতি দেওয়া হয়েছে ট্যুরিজম দফতর থেকে। এই মুহূর্তে এই এলাকায় মোট ৬টি হোমস্টে গড়ে তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। শহর থেকে দূরে কোলাহল ছেড়ে একেবারে নিস্তব্ধতা উপভোগ করার জন্য আদর্শ জায়গা বলে দাবি করছেন রাভা ও মেলা বস্তি এবং মঙ্গলকাটার বাসিন্দারা। তাঁদের আশা পর্যটকরা এই এলাকায় নিশ্চয়ই বেড়াতে আসবেন।
আরও পড়ুন-রামপুরহাটে তদন্তে ফরেনসিক দল
গয়েরকাটা থেকে ১৪ কিমি দূরে অবস্থিত এই বস্তিতে ধীরে ধীরে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। স্থানীয় রীতিতে অতিথিদের আপ্যায়ন করে স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি আগত পর্যটকদের চাহিদা মতো খাবারও তাদের দেন হোমস্টের মালিকরা। এখানে এসে রাভাদের সংস্কৃতি, কৃষ্টি সম্পর্কে জানতে পারবেন পর্যটকরা। রাজ্য সরকারের আর্থিক অনুদানও পাচ্ছেন হোমস্টের মালিকরা৷ লাটাগুড়ির মতো জঙ্গল সাফারি চালু করার জন্য বন দফতরের সঙ্গে আলোচনা চলছে।