বেঙ্গালুরু, ২৪ এপ্রিল : ধ্রুব জুরেল (৪৭) যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, জেতার জন্য লড়ে যাচ্ছিল রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু হ্যাজলউডের বল তাঁর ব্যাটের পিছনে লেগে কিপার জিতেশ শর্মার হাতে চলে যেতেই রাজস্থানের জয়ের আশায় জল পড়ে গেল। পরের বলে আর্চার (০) আউট। বিধ্বংসী হ্যাজলউড তখন হ্যাটট্রিকের সামনে। শেষপর্যন্ত হ্যাটট্রিক হয়নি। কিন্তু রাজস্থানের জেতাও হয়নি। ২০ ওভারে ১৯৪/৯ তুলে ১১ রানে হেরে গিয়েছে তারা।
শেষ ওভারে ১৭ রান দরকার ছিল। যশ দয়ালের প্রথম বলে শুভম দুবে (১২) ফিরে গেলেন। তার আগে থেকেই ফেরার লাইন পড়েছিল। রাজস্থান এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে হারল। আরসিবি সাত ম্যাচ পর চিন্নাস্বামীতে প্রথম জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এল। রাজস্থান ইনিংস যশশ্বী জয়সোয়াল ৪৯ রান করেছেন। এরপর জুরেল ছাড়া বেশি রান নীতীশ রানার ২৮। শেষদিকে পরপর উইকেট হারিয়েছে রাজস্থান। হ্যাজলউড ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম আরসিবির হোম গ্রাউন্ড। কিন্তু সেই হোম গ্রাউন্ডই এবার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল রজত পাতিদারদের থেকে। বাইরে জিতলেও ঘরের মাঠে তারা লাগাতার হেরেছেন। এদিন টসে জিতে রিয়ান যখন আরসিবিকে আগে ব্যাট করতে দিলেন, একটু চাপে ছিলেন মনে হল। বলছিলেন, আমিও আগে বল করে নিতে চাইছিলাম। সঞ্জু স্যামসন সাইড স্ট্রেনে ভুগছেন। রিয়ান নেতৃত্বে। বললেন, উইকেটে আদ্রতা থাকবে। তাই আগে বল করাই ভাল।
ম্যাচের আগে পয়েন্ট টেবলে দুটো দলের অবস্থান ছিল চার ও আটে। আরসিবি ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়েছিল। রাজস্থান রয়্যালসের আট ম্যাচে চার পয়েন্ট। আরসিবির জন্য ভাল শুরুর দরকার ছিল বৃহস্পতিবার। সেটা হয়েছে। পাওয়ার প্লে-তে ৬ ওভারে তারা তুলেছিল ৫৯/০। ফিল সল্টের (২৬) থেকেও বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন বিরাট কোহলি (৭০)। আর্চার ও দেশপান্ডের সঙ্গে ফারুকিকে খেলিয়েছে রাজস্থান। কিন্তু পাঁচ ওভারে এরা উইকেট না পাওয়ায় রিয়ান সন্দীপ শর্মার হয়ে বল তুলে দেন। সন্দীপ অনেকবার বিরাটের উইকেট নিয়েছেন।
রিয়ান বলেছিলেন উইকেটের জুস পরের দিকে শুকিয়ে যাবে। সেটাই হল। হাসরাঙ্গা এসে সল্টকে যখন তুলে নিলেন, আরসিবি ৬১। এরপর বিরাট আউট হয়েছেন ১৫৬ রানে। আরসিবির ইনিংসে পারিকাল ৫০ রান করেছেন। অধিনায়ক পাতিদার (১) রান পাননি। আরসিবি এরপরও ২০৫/৫ তুলতে পেরেছে । টিম ডেভিড ২৩ রানে রান আউট। জিতেশ শর্মা ২০ নট আউট ছিলেন।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না কেন পহেলগাঁওয়ে, কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল