প্রতিবেদন : বিদ্রোহের দামামা বেজে উঠেছে এবারে বাঁকুড়ার গেরুয়া শিবিরে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বোমা ফাটিয়েছেন বিজেপিরই বিধায়ক। বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর এবং সোনামুখী পুরসভায় দলের ব্যাপক বিপর্যয়ের জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা। নাম না করে আক্রমণের বর্শামুখ স্পষ্টতই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার গেরুয়া সাংসদ সুভাষ সরকারের দিকেই। দল সামলাতে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন-বাড়ি ফিরল তিয়াসা
পুরনির্বাচনে পদ্মশিবিরের ভরাডুবির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি দ্বিধাহীন ভাষায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বলেছেন, “জেলা ও রাজনীতির ভূগোল জানে না এমন লোকেদের প্যারাসুটে করে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে নেতা হিসেবে। অথচ তারা রাজনীতির লোক নয়। এর জেরেই ভরাডুবি ঘটেছে। পুরনির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত নেতৃত্বের। আমাদের নেতৃত্বের জন্যই ভরাডুবি।” লক্ষণীয়, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর এবং সোনামুখী— বাঁকুড়া জেলার এই ৩টি পুরসভার মোট ৫৮ আসনের মধ্যে বিজেপির জুটেছে মাত্র ২টি আসন। অনেক ওয়ার্ডেই দ্বিতীয় স্থানেও আসতে পারেনি পদ্মশিবির। সবচেয়ে করুণ দশা বাঁকুড়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে।
আরও পড়ুন-এসএসকেএমে অসাধ্যসাধন ডাক্তারদের, মূকবধিররা বলছে কথা
এখানে বিজেপি নেমে গিয়েছে চতুর্থ স্থানে। নির্দলেরও নিচে। অথচ এই ওয়ার্ডেই বসতবাড়ি বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের এবং বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার। বিষ্ণুপুরে কোনওরকমে দু’টো আসন জুটলেও জেলার বাকি ২ পুরসভায় পুরোপুরি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বিজেপি। এই বিপর্যয়ের মুহূর্তে ওন্দার গেরুয়া বিধায়ক অমরনাথ শাখার চাঁচাছোলা মন্তব্য নিঃসন্দেহে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। অস্বস্তি আরও তীব্র হয়েছে গেরুয়া শিবিরে।