প্রতিবেদন : দলের নয়া কোর কমিটি গঠনের পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। বিদ্রোহ শুরু হয়ে গেল বঙ্গ বিজেপিতে। মঙ্গলবারই পর্যবেক্ষক পদে ইস্তফা দিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। দলের কোর কমিটিতে ঠাঁই হয়নি। দায়িত্বও খানিকটা কমেছে। জুটেছে কেবল রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষকের পদ। এরপরই ক্ষুব্ধ সৌমিত্র ইস্তফা দিলেন পর্যবেক্ষক পদে। যা নিয়ে বঙ্গ বিজেপিতে ফের জলঘোলা শুরু হয়েছে। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর এই ইস্তফার পর শোনা যাচ্ছে আরও অনেকেই দলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। তাঁরাও বিদ্রোহ করতে চলেছেন বলেই খবর। একুশের বিধানসভা ভোটে গোহারা হারের পর বঙ্গ বিজেপির ওপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন-শাড়িতে নেই কালি
এই কোর কমিটি গঠনেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের নেতৃত্ব স্থানীয় অনেকেই নয়া কোর কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। তারপরেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত কোন্দল। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করে এড়িয়ে গিয়েছেন দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। কোর কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। একুশে বিজেপির লজ্জার হারের পর থেকে এ রাজ্যে আর দেখা যায়নি মিঠুনকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের রাজ্য রাজনীতিতে ভেসে উঠতে চেষ্টা করছেন তিনি। দুর্গাপুজোর আগে বিভিন্ন জেলায় সফরও করেন মিঠুন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কাদের নিয়ে ময়দানে লড়াই করবে বিজেপি। কারণ প্রতিটা নেতাকে ঘিরে তো এক-একটি গোষ্ঠী। ফলে নিচুতলার কর্মীরাও ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছেন।