প্রতিবেদন : মঙ্গলবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে ক্যানসারের ৩টি ওষুধের দাম আর এক্স-রে মেশিনের দাম কমানো ছাড়া স্বাস্থ্য বাজেট কার্যত শূন্য। বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছে নামমাত্র ১২.৫৯%। কেন্দ্রীয় বাজেটে সারভাইক্যাল ক্যানসার বা জরায়ুমুখ ক্যানসার রোধে টিকার বিষয়ে কিছুই বললেন না দেশের মহিলা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বিরোধীদের অভিযোগ, মুখে বেটি বাঁচাও-এর কথা বলা মোদি সরকার মহিলাদের স্বাস্থ্য বিষয়ে উদাসীন।
আরও পড়ুন-শিক্ষা প্রকল্পেও টুকলি কেন্দ্রের, ঋণ স্বীকারের সৌজন্যও নেই : ব্রাত্য
আগেরবার লক্ষ্য ছিল, লোকসভা নির্বাচন। তাই অন্তর্বর্তী বাজেটে মহিলাদের স্বাস্থ্য সংস্কারে বড়সড় পদক্ষেপ ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সারভাইক্যাল ক্যানসার রোধে টিকার কথা বলেছিলেন। সরকারি উদ্যোগে প্রতিষেধক দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের পরে এবার পূর্ণাঙ্গ বাজেটে তা নিয়ে উচ্চবাচ্যই করলেন না নির্মলা। এদিন বাজেটে মহিলাদের জন্য বেশ কিছু প্রকল্পের কথা বললেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই স্বাস্থ্যের দিক রইল অন্ধকারে। এই কারণেই এই বাজেট নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কোনও আলো দেখতে পাচ্ছি না বাজেটে। সবটাই অন্ধকার।
অথচ গ্রামীণ ভারতের দরিদ্র-নিম্নবিত্ত মহিলারা যে ধরনের ক্যানসারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন, তার মধ্যে এই জরায়ুমুখ ক্যানসার দ্বিতীয় স্থানে। প্রতি বছর ভারতে এক লক্ষের বেশি মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হন। বিশেষজ্ঞদের মত, কম বয়সে টিকা দিলে এই ক্যানসারের আশঙ্কা কমানো সম্ভব। দ্বিতীয় মোদি সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট বক্তৃতায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্মলা জানিয়েছিলেন, সারভাইকাল ক্যানসার প্রতিরোধে উদ্যোগী হবে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য ৯ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীদের এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। তবে কবে থেকে এই কর্মসূচি চালু হবে তা উল্লেখ করেননি নির্মলা।
আরও পড়ুন-কোচ দ্রাবিড়কে পেতে ঝাঁপাল রাজস্থান
পূর্ণাঙ্গ বাজেটে এ-নিয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করা হবে বলে আশায় ছিল সবাই। কিন্তু গরিব মহিলাদের হতাশ করলেন তিনি। শুধুমাত্র ক্যানসারের প্রয়োজনীয় ওষুধে আমদানি শুল্ক কমানোর কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনটি ওষুধে পুরোপুরি কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।