কোর্টের রক্ষাকবচেই বেপরোয়া গদ্দার

দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, তাঁকে জড়িয়ে কুকথা। আর কলকাতা শহরের নগরপাল সম্বন্ধে অশালীন শব্দপ্রয়োগ। প্রকাশ্য রাজপথে। কে করেছেন?

Must read

প্রতিবেদন : দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, তাঁকে জড়িয়ে কুকথা। আর কলকাতা শহরের নগরপাল সম্বন্ধে অশালীন শব্দপ্রয়োগ। প্রকাশ্য রাজপথে। কে করেছেন? গদ্দার অধিকারী। কে তিনি? দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলার বিরোধী দলনেতা। এইসব শব্দ প্রয়োগ করার পরেও এতটুকু লজ্জা-ঘৃণা কিংবা কুণ্ঠা নেই বিরোধী দলনেতার শরীরে। শনিবারই প্রথম নয়, একাধিকবার ক্যামেরার সামনে আঁস্তাকুড়ের শব্দ উচ্চারণ করেছে গদ্দার। কেন এমন বেপরোয়া? যতবার তার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া হয়েছে, অদ্ভুতভাবে আদালত তাকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া গদ্দারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন-দীপাবলি-ছটে টিকিটে ছাড়, উপেক্ষিত দুর্গাপুজো, বাংলাবিরোধী কেন্দ্র

দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ রবিবার চুঁচুড়ায় দাঁড়িয়ে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, বিরোধী দলনেতাকে বেপরোয়া করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কুকথার দায় শুধু গদ্দার নয়, নিতে হবে বিচারপতি মান্থাকেও। কেন? কারণ ব্যাখ্যা করে কুণাল বলেন, বিচারপতি বারবার অন্যায় কাজে তাকে রক্ষাকবচ দিয়ে আরও বেপরোয়া হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। বারবার প্ররোচনামূলক ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপির এই নেতা। বিভিন্ন মামলায় বিচারপতি তাকে রক্ষাকবচ দিয়েছেন। তার জেরেই এই ঔদ্ধত্য। এরপর কুণাল পূরাণের গল্পের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে গদ্দারের হেরে যাওয়াটা কেমন হবে তা ব্যাখ্যা করে বলেন, ব্রহ্মার বরে বলীয়ান হয়ে মহিষাসুর বড়বড় কথা বলতেন। ঠিক সেইরকম, রক্ষাকবচের বলে বলীয়ান হয়ে গদ্দার এসব কাজ করে চলেছে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে মহিষাসুরের পতন হয়েছিল দেবী দুর্গার হাতেই। গদ্দার যেন এই ইতিহাসটা মনে রাখে।

আরও পড়ুন-জয় বাংলা স্লোগান! দমদমে এসি লোকালের উদ্বোধনে সুকান্তকে ঘিরে বিক্ষোভ আইএনটিটিইউসির

গদ্দার অধিকারীর অশালীন ভাষা নিয়ে বাংলার সব মহলেই সমালোচনার ঝড়। এমনকী গদ্দারের দলের নেতা দিলীপ ঘোষও স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, যা বলা হয়েছে তা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। সিপিএম এই দোষে দুষ্ট হয়েও বাধ্য হয়েছে গদ্দারের সমালোচনা করতে। সব মিলিয়ে বেকায়দায় গদ্দার। একদিকে স্পষ্ট হয়েছে, দলে তার সঙ্গে কেউ নেই। সুকান্ত-দিলীপ-শমীক কেউই শনিবারের কর্মসূচিতে ছিলেন না। নবান্ন দূরে থাক, পুলিশি ব্যবস্থায় পার্ক স্ট্রিটের বাইরে পা ফেলতে পারেনি গদ্দার। সেইসঙ্গে হাজার দু’য়েক লোক নিয়ে যে নাটকটি তিনি করেছেন তাতে পরিষ্কার, গদ্দারের রাজনীতিকে বাংলার মানুষ বর্জন করেছেন।

Latest article