প্রতিবেদন : প্রবল ভাষা আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত রাজ্যের ১১টি জেলায় বাংলা ভাষাকে আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিল ঝাড়খণ্ড সরকার। যে ১১টি জেলায় বাংলা ভাষাকে আঞ্চলিক ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল পূর্ব সিংভূম, রাঁচি, জামতাড়া, সরাইকেলা, পাকুড়, সাহেবগঞ্জ, বোকারো, ধানবাদ, দেওঘর ও দুমকা ও গোড্ডা। একইসঙ্গে ঝাড়খণ্ড সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ধানবাদ ও বোকারো জেলায় আঞ্চলিক ভাষার তালিকা থেকে ভোজপুরি এবং মাগাহিকে বাদ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-প্রশ্ন বিস্ফোরণে
ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন সরকার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের ১১টি জেলায় বাংলাকে আঞ্চলিক ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে বোকারো ও ধানবাদ জেলার আঞ্চলিক ভাষার তালিকা থেকে ভোজপুরি এবং মাগাহিকে বাদ দেওয়ার কথাও জানিয়েছে। তবে এই দুই জেলার আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে নাগপুরি, উর্দু, কুড়মালি, কোরথা ছাড়াও বাংলা ভাষাকে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় ভোজপুরি এবং মাগাহি ভাষাকে আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে গণ্য না করার জন্য আন্দোলন শুরু হয়। বোকারো এবং ধানবাদে আন্দোলন বড় আকার ধারণ করে। পাশাপাশি বাংলাকে আঞ্চলিক ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রবল দাবি ওঠে।
আরও পড়ুন-চিনের স্পেস স্টেশন
প্রায় ৫০ দিন ধরে এই আন্দোলন চালিয়ে আসছিল ঝাড়খণ্ডি ভাষা সংগ্রাম সমিতি। শেষ পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের জেরেই বাংলাকে ১১টি জেলায় আঞ্চলিক ভাষার স্বীকৃতি দিল হেমন্ত সোরেন সরকার। একইসঙ্গে ভোজপুরি ও মাগাহিকে দুই জেলা থেকে বাদ দেওয়া হল। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, ধানবাদ ও বোকারো জেলায় ভোজপুরি ও মাগাহি ভাষায় কথা বলার লোক আদৌ খুব একটা নেই। তাই এই দুই ভাষাকে আঞ্চলিক ভাষার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন-এখনই অবসর নিচ্ছি না : ঋদ্ধি
সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভোজপুরি ও মাগাহি ভাষাকে বাদ দেওয়া এবং বাংলাকে ১১টি জেলায় আঞ্চলিক ভাষার মর্যাদা দেওয়া হলেও বিষয়টি নিয়ে সরকারের দুই বড় শরিক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এবং কংগ্রেস কেউই মুখ খোলেনি। যদিও উর্দুকে আঞ্চলিক ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি।