প্রতিবেদন : দুর্যোগের কয়েক ঘণ্টা পরেই উদ্ধারকার্য সামলে এলাকা পুনর্গঠনের কাজে নেমে পড়েছে রাজ্য। প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে ধস ও বন্যাবিধ্বস্ত উত্তরের প্রতিটি জেলায়। মঙ্গলবার মিরিকের বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর সুখিয়াপোখরির ত্রাণ শিবিরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata banerjee) রাজ্য প্রশাসনের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করলেন। সেইসঙ্গে তিনি জানান, আধিকারিকরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, শুধু বাংলাই পারে। ধসে বিধ্বস্ত অবকাঠামো নির্মাণের কাজ এত দ্রুত শুরু করা শুধু বাংলার পক্ষেই সম্ভব।
মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata banerjee) বলেন, গত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের বন্যা ও ভূমিধস-পীড়িত এলাকাগুলিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম আমি নিজে পর্যবেক্ষণ করছি। হাসিমারা, নাগরাকাটা, চালসা, মাল এবং কার্শিয়াংয়ে গিয়ে দুর্গত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেছি। এদিন মিরিকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঘুরে দেখলাম। সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে পুনর্গঠন কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি। এরপর বুধবার দার্জিলিং, কালিম্পং ও মিরিকের জন্য একটি রিভিউ মিটিং করব। তাঁর কথায়, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আমাদের কোনও হাত নেই। কিন্তু আমাদের সহমর্মিতা, প্রস্তুতি এবং ঐক্যবদ্ধ তৎপরতা রয়েছে। যতক্ষণ না সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে, ততক্ষণ আমাদের লড়াই চলবে।
আরও পড়ুন- পাড়ায় সমাধানে আবেদনের ৭২ দিনের মাথাতেই নয়া রাস্তা
পাহাড়ের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, কেউ হতাশ হবে না কারও কথায়। দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান। নিজেদের থেকে সাহায্য করার চেষ্টা করুন। বিজেপিকে নিশানায় তিনি বলেন, কেউ কেউ আসছেন, ফোটোশ্যুট করে পালিয়ে যাচ্ছেন।
আমরা কাজ করছি। যাঁরা ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের বাংলার বাড়ি বানিয়ে দেব। ল্যান্ডস্লাইড পরিষ্কার করে দ্রুত রাস্তা যাতায়াতের উপযোগী করে দিতে নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা নেই। আমরাই ত্রাণ দিচ্ছি, কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছি। আর কয়েকজন শুধু রাজনীতি করছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে দয়া করছি না। মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়বদ্ধতা। যারা কিছু করে না, শুধু বড় বড় ডায়ালগ দেয়, বাংলার শুধু বদনাম করে, আমরা তাদের সঙ্গে নেই। আমরা আপনাদের, সাধারণ মানুষের সঙ্গে রয়েছি। সন্দেশখালিতে একটা সাইক্লোনে কত ঘর ভেঙে গেল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে কাজ শুরু করা হয়েছিল। পাহাড়-ডুয়ার্সেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। এটা একমাত্র আমাদের সরকার পারে, আর কেউ পারে না। এদিন নদী কমিশন নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ভুটানের ছাড়া জলে সব কিছু জলের তলায় চলে যাচ্ছে। বাংলার চাপে নদী কমিশন নিয়ে বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র। ১৬ অক্টোবর বাংলার প্রতিনিধি যাবে সেই বৈঠকে যোগ দিতে।
সুখিয়াপোখরিতে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান
স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র প্রদান
গৃহহারাদের বাংলার বাড়ির ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা
দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার রিভিউ মিটিং বুধবার
ধস ও বন্যায় ক্ষতির রিপোর্ট দেবে জিটিএ
দ্রুত রাস্তা মেরামতির নির্দেশ প্রশাসনকে
অস্থায়ী ব্রিজ ৭ দিনেই, রাজ্য তৈরি করে দেবে স্থায়ী সেতু
লামহাটায় হবে আলাদা পর্যটন কেন্দ্র
দুর্গতদের জন্য ব্লকে ব্লকে বিশেষ ক্যাম্প