সুস্মিতা মণ্ডল, গঙ্গাসাগর : মিনি সাগরমেলার (Gangasagar) ছবি ফিরে এল মাঘী পূর্ণিমার সাগরস্নানে। বুধবার ভোর থেকে শুরু হয় সাগরস্নান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে শুরু করে। এক সময় সাগরতটেও পুণ্যার্থীর ঢল নামে। সকাল থেকে আকাশ ছিল রোদ ঝলমলে। ঠান্ডা ছিল কম। সাগরস্নানের পর পুণ্যার্থীদের লম্বা লাইন পড়ে কপিলমুনির মন্দিরের (Kapilmuni Temple) সামনে। ২ নং স্নানঘাটের রাস্তায় সার সার পুণ্যার্থী দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইন দিয়ে পুজো দেন। করোনাবিধি মেনে অল্প সংখ্যক পুণ্যার্থীকে মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল। এবারের মাঘী পূর্ণিমার ভিড় অতীতের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বলে মত প্রশাসনের। রাত পর্যন্ত পূর্ণিমা তিথি থাকায় দিনভর ভিনরাজ্যের পাশাপাশি রাজ্যের পুণ্যার্থীরা ভিড় করেন। তবে মকর সংক্রান্তিতে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান থেকে পুণ্যার্থীরা বেশি আসেন।
আরও পড়ুন-গান স্যালুটে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে চিরবিদায়
বুধবার কিন্তু দুই চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে এসেছিলেন সিংহভাগ পুণ্যার্থী। মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে কপিলমুনির মন্দির চত্বরে বসা মেলায় দেদার বিককিনিও হয়। মঙ্গলবার রাত থেকেই মেলা ও সাগরে ঢোকার বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা বাড়ায় সুন্দরবন পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্তোষ মণ্ডল ছাড়াও হাজির ছিলেন সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল, এসডিপিও-সহ একাধিক থানার ওসিরা। সাগরস্নানের নিরাপত্তায় ছিল স্পিডবোট। মুড়িগঙ্গায় অতিরিক্ত ভেসেল চালানো হয়। কচুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) বেশি বাস ও ছোট গাড়ি চলে। বিপর্যয় মোকাবিলা ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা ছিলেন। ছিল যাত্রীনিবাস ও ভ্রাম্যমাণ শৌচালয়। মঙ্গলবার রাতে শেষ প্রস্তুতি দেখে ষান সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেন তিনি।