প্রতিবেদন : উৎসবের শুরুর দিন থরে থরে সাজানো ছিল নদিয়ার রেড পালমার, মুর্শিদাবাদের নবাবি কোহিতুর। একটির দাম ৫০০ টাকা। প্রথমদিন আমগুলি দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন অনেকেই। আর দ্বিতীয় দিনেই ঝুড়ি ফাঁকা। এমন আম চেখে দেখতে মোটেই কার্পণ্য করেনি আম বাঙালি। ২৩ থেকে ২৫ জুন তিনদিনের আম উৎসবে বিক্রি হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের হিসাব বলছে, এই তিনদিনে ৬০ মেট্রিক টন আম বিক্রি হয়েছে উৎসবে।
আরও পড়ুন-মহানগরীর অটো এবার নীল-সাদা
হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি, গোলাপখাস, সারেঙ্গা, বিড়া, রানিপসন্দ, মুলায়মজাম, ব্যানানা কিং, মল্লিকা, মোতিচূর ইত্যাদি নামী-অনামী গোটা ৪০ প্রজাতির আম দেদার বিকিয়েছে এই তিনদিন। তবে উৎসবের শেষ দিন দাম কিছুটা কমিয়েই আম বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। আগামী বছর আরও বড় করে এই উৎসব হবে বলে জানিয়েছেন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। তিনি বলেন, “আগামী বছর আরও আগে শুরু হবে এই উৎসব। আরও বেশি প্রজাতির আম রাখা হবে।” এই উৎসবে গুণমানের বিচারে রাজ্য সরকারের তরফে পুরস্কৃতও করা হয় বিভিন্ন জেলাকে। ‘অ্যাপিয়ারেন্স’ বিভাগে প্রথম হয়েছে হুগলি, দ্বিতীয় পূর্ব বর্ধমান, তৃতীয় উত্তর ২৪ পরগনা, ‘ওভারঅল পারফরম্যান্স’ বিভাগে প্রথম মালদহ, দ্বিতীয় নদিয়া এবং তৃতীয় হয়েছে মুর্শিদাবাদ, আর ‘অ্যাওয়ার্ড অফ অ্যাপ্রিসিয়েশন’ বিভাগে প্রথম হয়েছে বাঁকুড়া, দ্বিতীয় পুরুলিয়া এবং তৃতীয় উত্তর দিনাজপুর। উৎসবের শেষদিন সব থেকে বেশি ভিড় হয়েছে বলেই জানাচ্ছেন আম ব্যবসায়ীরা