প্রতিবেদন : গরম বাড়ছে। তীব্র তাপপ্রবাহ। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল। এরমধ্যেই বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। পাখা থেকে এসি সবই চলছে গৃহস্থের ঘরে এবং অফিসেও। গত মঙ্গলবার রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৯০২৪ মেগাওয়াট। যেখানে ২০২২ সালে ১৭ অগাস্টে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৭৮৩২ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বুধবার বলেন, ডব্লুবিসিএল, ডব্লুবিএসটিসিএল ও ডব্লুবিএসিডিসিএল এই তিনটি সংস্থা উৎপাদন থেকে বণ্টনের কাজ করে চলছে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। এরফলে পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। সিইএসসি এলাকাতেও বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন।
আরও পড়ুন-ট্রপিক্যালে ডায়ালিসিস রোগীদের কুলার
গত বুধবার সিইএসসি এলাকাতে ২৪২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল। যা গ্রাহকদের সরবরাহ করা গিয়েছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আরও বলেন, বাংলায় ২ কোটি ২২ লক্ষ গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, আমরা পরিষেবা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারে বলে এসেছেন রাজ্য সরকার মানুষের পাশে রয়েছে। আর সরকার মানুষের জন্য। এটা ঠিকই প্রচণ্ড দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় যেভাবে সামাল দেওয়া হচ্ছে তা প্রশংসার যোগ্য। পরিষেবাকে আরও এগিয়ে দিতে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনই বাড়ানো হয়নি, কোথাও ট্রিপ বা যান্ত্রিক গোলযোগ হলেও সামাল দিয়েছেন বিদ্যুৎ কর্মীরা। এজন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যার নম্বর— ৮৯০০৭৯৩৫০৩, অপরটি ৮৯০০৭৯৩৫০৪।