প্রতিবেদন : ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্তে ট্রাক টার্মিনাসগুলি পরিচালনার দায়িত্ব রাজ্য সরকার হাতে নেওয়ার পর দুবছরেরও কম সময়ের মধ্যে পার্কিং ফি বাবদ ৪৬১ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব (Revenue) আদায় হয়েছে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৭৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছর তা ছিল ১৮৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি, কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা, আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁও, জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি এবং দার্জিলিংয়ের পানিটাঙ্কি এই ৬টি ট্রাক টার্মিনাস থেকে পার্কিং ফি বাবদ মোট ২৭৭ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব (Revenue) আদায় হয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ৬০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা পেট্রাপোল সীমান্তে। ওই জেলারই ঘোজাডাঙা সীমান্তে ৫২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা পার্কিং ফি আদায় করা হয়েছে। বাঁকুড়ার মহদিপুর সীমান্তে ৩৭ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা উত্তরবঙ্গের হিলিতে ২৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এছাড়া চ্যাংড়াবান্ধায সীমান্ত থেকে ২১ কোটি টাকার বেশি এবং ফুলবাড়ী ট্রাক টার্মিনাস থেকে সাত কোটি ৬০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে পরিবহণ সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, এর আগে পর্যন্ত স্থানীয় এজেন্সি এবং পুরসভাগুলি এই টার্মিনাসগুলি থেকে পার্কিং ফি আদায় করত। যা নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরিবহণ দফতর সমস্ত ট্রাক টার্মিনাসগুলিকে নিজে হাতে নিয়ে সুনির্দিষ্ট হারে রাজস্ব আদায়ে শুরু করে। তারপরেই রাজস্ব আদায় বাড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি। নবান্ন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই ট্রাক টার্মিনাসগুলি পরিবহণ দফতরকে নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। টার্মিনাসগুলি থেকে পার্কিং বাবদ ফি আদায় করার নির্দেশও দেন তিনি।
আরও পড়ুন- আকচা আকচি আর খেয়োখেয়ি সম্বল ওদের