মারমা রূপকথায় বাঘের ঘর
এক বনে এক বাঘ আর শূকরের মধ্যে ছিল অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব। একদিন হঠাৎ আকাশ কালো করে হু হু বাতাস বয়ে ঝড় এল দেখে শূকর তাড়াতাড়ি বাঁশঝাড়ের নিচে গিয়ে বিভিন্ন লতাপাতা দিয়ে নিজের জন্য ঘর করে ফেলল। এমন সময় বাঘ সেখানে এসে হাজির হল। শূকর বাঘকে দেখে আসার কারণ জানতে চাইল। উত্তরে বাঘ বলল, ‘বন্ধু আমি এক রাতের জন্য তোমার ঘরে আশ্রয় চাই।’ বাঘ দুই হাত জোড় করে মিনতি করে বলল, ‘আজ একরাতের জন্য আমাকে আশ্রয় দাও বন্ধু। আমি তোমার কোনও ক্ষতি করব না এবং ভোর হওয়ার আগেই তোমার ঘর ছেড়ে চলে যাব।’ শূকর মহাবিপদে পড়ল। বাঘ শূকরের কথার তোয়াক্কা না করে বলল, ‘বন্ধু শূকর! গতরাতে আমি একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছি। স্বপ্নে আমি তোমাকে খাচ্ছি! আর তুমি তো জানো আমাদের বাঘের মধ্যে যে কেউ স্বপ্ন দেখলে তা অবশ্যই করতে হয়।’ রূপকথায় বাঘ নিজের ঘর ছেড়ে শূকরের ঘরে আশ্রয় নিল। তাকে খেয়ে ফেলতে চাইল।
আরও পড়ুন-আন্তর্জাতিক লজ্জা : মুখ্যমন্ত্রী, বিশ্ব মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টেও বিজেপির বাংলা-বিদ্বেষের কথা
বাঘ— সে তো বিড়ালই
উত্তর তালপট্টির ঘটনা। ১৯৯০ সালে ওদিকে জেলে-বাওয়ালিদের চলাফেরা ছিল অবাধ। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে গরান গাছ কাটার অনুমতি দিত বনবিভাগ। নিউজপ্রিন্ট মিলের জন্য গেঁওয়া গাছও কাটা হত। দু-তিন মাস চলত গোলপাতা কাটার মৌসুম। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত সুন্দরবনে মধু আহরণ করতেন মৌয়ালরা। এসব কাজে দলবদ্ধ ভাবে জঙ্গল করত মানুষ। উত্তর তালপট্টিতে তাঁরা দল বেঁধে মাছ ধরতেন। তখন পশ্চিম সুন্দরবনের ওদিকটা অভয়াশ্রম ছিল না। একই এলাকায় বাওয়ালিরা যেত গরান কাটতে। সেখানে একবার এক গুনিন বাঘকে নাকি বিড়ালের মতো নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। পরে সেই গুনিন বাঘের আক্রমণেই মারা গেছেন। তারপরও বাওয়ালিদের কাছে এই মানুষদের কদর ছিল বেশ। বাওয়ালিরা গাছ কাটতেন। তখন গরান, গেঁওয়া আর গোলপাতা কাটার অনুমতি ছিল। চরম ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এই কাজে জঙ্গলে নেমে কত মায়ের ছেলে যে ফিরে আসেনি! তার পরও পেটের টান বলে কথা! জঙ্গলের গভীরে ঢুকে গাছ কাটত। তারপর কেটে ছেঁটে পরিষ্কার করে টেনে আনত খাল বা নদীর পাড় পর্যন্ত। তারপর নদীপথে গন্তব্যে। জঙ্গলের কাজটুকু অনেক কঠিন। প্রতি পদে ছিল জীবনের ঝুঁকি। বাঘের ঝুঁকি ছিল সবচেয়ে বেশি। তাই বাঘের হাত থেকে বাঁচতে হলে সঙ্গে নিতে হত গুনিন। তা না হলে মায়েরা তাদের সন্তানদের জঙ্গলে দিতেন না। ওঁরা নাকি বিশেষ মন্ত্র জানেন। জঙ্গলে গিয়ে সবার আগে নামবেন। মন্ত্র পড়ে নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করে দেবেন। সেই অংশের বাইরে এক পা-ও কেউ যেতে পারবে না। নিয়ম ভাঙলে মৃত্যু। গাছ কাটার কাজ শেষ হলে গুনিন মন্ত্র তুলে নেন। গুনিনরা নাকি বাঘদের বশ করে ফেলতেন! মন্ত্র পড়ে কাছাকাছি থাকা বাঘদের থামিয়ে দিতেন। যাকে বলে খিলান দেওয়া। কাজটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। খিলান দিলে নাকি বাঘ যেখানে থাকে সেখানেই দাঁড়িয়ে যায় কিংবা বসে পড়ে। এ-সময় তারা মুখ খুলতে পারে না। বাওয়ালিরা নাকি বাঘের পাশ দিয়ে হাঁটাচলা করত কিন্তু মামা কিছুই করতে পারত না। ওই অঞ্চলে কাজ শেষ করার পর আবারও মন্ত্র পড়ে খিলান ছাড়াতেন গুনিন!
আরও পড়ুন-ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসেও পরীক্ষা! ধিক্কার জানাল তৃণমূল
বাঘ-কথা
বাঘ নিয়ে লোকজীবনে নানা রূপকথা রয়েছে, কেউ বাঘ দেখেছেন নিজের চোখে আবার কোথাও বা বনবিবি এবং দক্ষিণরায়ের পুজোর পর বাঘ নিয়ন্ত্রণের রূপকথা তৈরি হয়েছে। বাংলার বাঘ নিয়ে আমাদের উৎসাহ থাকলেও সারা পৃথিবী জুড়ে বাঘের মাসি-পিসিদের বাঁচিয়ে রাখার লড়াই শুরু হয়েছে। বাঘ, ইন্দোচিনের বাঘ, মালয়ের বাঘ, সুমাত্রার বাঘ, আমুর বা সাইবেরীয় বাঘ, কাস্পিয়ান বা তুরানের বাঘ, জাভার বাঘ, বালির বাঘ এবং দক্ষিণ চিনের বাঘ। এদের মধ্যে বালি, জাভা আর কাস্পিয়ান বাঘ এখন আর দেখা যায় না। বিশ্বের প্রায় পঁচাত্তর শতাংশ বাঘের ঘর ভারতে। তবে বাঘেরা তাদের ঘর নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে না। দেশে দেশে বাঘেদের নিয়ন্ত্রণের জন্য লোকশ্রুত গুনিনও থাকে না। ভারতের সঙ্গে অন্য দেশের ভৌগোলিক ও রাষ্ট্রীয় সীমারেখা থাকলেও বাঘেদের কোনও সীমারেখা নেই। তারা নদী পেরিয়ে জঙ্গল পেরিয়ে অনায়াসে চলে যেতে পারে অন্য দেশে। আবার কখনও জঙ্গল থেকে বেরিয়ে সোজা ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও সরকারি আইন নেই। সম্প্রতি সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই সমস্ত বাঘের বসতবাড়ি বাংলাদেশ। ঘর-বাড়ি ছেড়ে অনায়াসে তারা চলে আসে এদেশে। অবৈধভাবে এদেশে আসার মূল কারণ খাদ্যের অভাব। জঙ্গলে খাবারে টান ধরলেই যেমন লোকালয়ে ঢুকে পড়ে, তেমনই খাবারের সন্ধানে তাকে নাগরিকত্ব বাজি রেখে উদ্বাস্তু হতে হয় এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গল। সুন্দরবনের জঙ্গলে নৌকায় চাপিয়ে নিয়মিত হরিণ এবং শূকর ছেড়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন-নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২০টি গাড়িকে ধাক্কা কন্টেনারের, মৃত ১, আহত ১৮
সীমান্ত পেরিয়ে বাঘ-প্রেম
মানুষের টেনে দেওয়া আন্তর্জাতিক সীমারেখা বাঘেদের জন্য কাজ করে না। শিকড়ের সন্ধানে এবং সঙ্গী আছে কি না— এসব নানা বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই তাদের নিজস্ব ঠিকানা তৈরি হয়। প্রজননের সময় দু’দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমারেখা লঙ্ঘন করার প্রবণতা বাড়ে। এই অবাধ যাতায়াতের কারণ, জঙ্গলে তাদের নিরাপত্তা এবং পর্যাপ্ত খাবারের রসদ। সুন্দরবন দু-দেশের সম্পদ। দুই দেশ মিলিয়ে সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এর বেশিরভাগ অংশই বাংলাদেশের অন্তর্গত। আয়তনে যা প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার। বাকি চার হাজার কিলোমিটার রয়েছে ভারত অর্থাৎ পশ্চিমবাংলায়। সম্প্রতি সুন্দরবনের বাংলাদেশের অংশে স্ত্রী-বাঘের অভাব দেখা দিয়েছে।
তাই সঙ্গীর খোঁজে ভারতে চলে আসছে একের পর এক পুরুষ-বাঘ। এক সমীক্ষায় জানা গেছে, বাংলাদেশের খুলনা জেলার অন্তর্গত ম্যানগ্রোভ অরণ্যের পুরুষ-বাঘেরা মেটিং সিজনে প্রায়ই পাড়ি দিচ্ছে এ-দেশে। সীমান্ত অতিক্রম করতে কখনও তাদের সাঁতরে পার হতে হচ্ছে নদী। কখনও মাইলের পর মাইল বিস্তৃত দুর্গম ম্যানগ্রোভ জঙ্গল পার করতে হচ্ছে। তবে সেসব তোয়াক্কা না করে, কষ্ট সহ্য করেও তারা হাজির হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে। কেবল ভালবাসার খোঁজে। এখনও পর্যন্ত এরকম বেশ কয়েকটি পুরুষ-বাঘ বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে পড়েছে বলে অনুমান।
পায়ে পড়ি বাঘমামা
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাঘের বসবাস এখন ভারতে। সর্বাধিক জনবসতিপূর্ণ এ-দেশে বৈশ্বিক বাঘের আবাসস্থলের মাত্র ১৮ শতাংশ থাকার পরেও দেশটি বাঘ সংরক্ষণে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। খবর বিবিসির। গত এক দশকে দেশটিতে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৩ হাজার ৬০০-এর বেশি হয়েছে, যা বিশ্বের মোট বাঘের ৭৫ শতাংশ। বর্তমানে দেশটির ১ লাখ ৩৮ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার (৫৩ হাজার ৩৬০ বর্গমাইল) এলাকা জুড়ে এই বন্যপ্রাণী বসবাস করছে, যা যুক্তরাজ্যের প্রায় অর্ধেক আয়তনের সমান। এসব অঞ্চলে প্রায় ৬ কোটি মানুষের বসবাস থাকলেও বাঘদের সহাবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। প্রখ্যাত গবেষণা সাময়িকী সায়েন্স-এ প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, বাঘদের পাচার ও আবাসস্থল হারানোর হাত থেকে রক্ষা, শিকারি প্রাণী সুরক্ষা, মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণী সংঘাত কমানো এবং স্থানীয় জনগণের উন্নয়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। গবেষণার প্রধান লেখক যদবেন্দ্রদেব বিক্রমসিং ঝালা বলেন, আমরা সাধারণত মনে করি যে মানুষের ঘনবসতি বড় মাপের মাংসাশী প্রাণীদের (যেমন বাঘ) সংরক্ষণে বাধা সৃষ্টি করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, মানুষের সংখ্যা নয়, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ হিসেবে মালয়েশিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে ভারতের তুলনায় জনসংখ্যার ঘনত্ব কম এবং অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হওয়া সত্ত্বেও বাঘ সংরক্ষণে সফলতা আসেনি। ভারতের সাফল্য দেখিয়েছে যে, সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করলে বাঘ রক্ষা করা সম্ভব, জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি পায় এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীরও উপকার হয়— যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হতে পারে।
ভারত-বাঘবিলাসী
গবেষক যদবেন্দ্রদেব বিক্রমসিং ঝালা, নিনাদ অবিনাশ মুঙ্গি, রাজেশ গোপাল এবং কামার কুরেশির পরিচালিত এক গবেষণায় ২০০৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বাঘের বিস্তৃতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ভারত ২০০৬ সাল থেকে প্রতি চার বছর পরপর ২০টি রাজ্যের বাঘের আবাসস্থল পর্যবেক্ষণ করছে। এতে বাঘ তাদের শিকারি প্রাণী, খাদ্য সরবরাহ ও পরিবেশের গুণগত মানের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই সময়ে ভারতে বাঘের আবাসস্থল ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বছরে গড়ে ২,৯২৯ বর্গকিলোমিটার। গবেষকরা দেখেছেন, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণে ভারতে বাঘ ও মানুষের সহাবস্থানের মাত্রা বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ড ও কর্নাটকের মতো রাজ্যে উচ্চজনসংখ্যার মধ্যেও বাঘ ও মানুষ একসঙ্গে বসবাস করছে। গবেষকরা বলছেন, বাঘের সহাবস্থানের ক্ষেত্রে যেসব এলাকা ভাল কাজ করছে, তা সাধারণত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী জায়গা। এখানে বাঘ-সংক্রান্ত পর্যটন এবং সরকারি সহায়তা রয়েছে, যা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে, উন্নয়নও কখনও কখনও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। অর্থাৎ, যেখানে শহরায়ণ বেশি, সেখানে বাঘের জন্য ভাল আবাসস্থল হারানোর ভয় থাকে। বাঘের সংরক্ষণ সফল হতে হলে শহরায়ণ আর দারিদ্র যেন একসঙ্গে সমস্যা তৈরি না করে। যদি গ্রামীণ উন্নয়ন সঠিকভাবে হয় এবং মানুষও সচেতন থাকে, তাহলে বাঘের জীবন রক্ষা করা সম্ভব। এটি ভারতের পরিবেশগত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে খাপ খায়।
বাঘ বাঁচাও
২০১০ সালে প্রথম বিশ্ব বাঘ সম্মেলনের এক দশক পূর্তি উপলক্ষে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্ব বাঘ সম্মেলন আয়োজন করে যেখানে বাঘের জনসংখ্যার একটি নতুন গল্প প্রকাশ করা হয়। বাঘের আবাসস্থলের দেশগুলোর মতো ভারতও তাদের বাঘগণনা করছে যাতে একটি আপডেটেড জনসংখ্যার হিসাব দেওয়া যায়। উদ্বাস্তু বাঘেরাও ভারতে আসতে চাইছে তাদের নিরাপত্তার কারণে। ২০২২ সালের সর্বশেষ বাঘশুমার অনুসারে, ভারত ৩,১৬৭টি বাঘের সংখ্যা নিয়ে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে। রণথম্ভোর, জিম করবেট এবং বান্ধবগড়ের মতো বিস্তৃত জাতীয় উদ্যানের জন্য বিখ্যাত, যেখানে বাঘ অবাধে বিচরণ করে। বন্য বাঘ সংরক্ষণ প্রচেষ্টাতেও ভারত বিশ্বে শীর্ষস্থানীয়। ভারতের পিছু নিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার বাঘের সংখ্যা ৪৮০ থেকে ৫৪০-এর মধ্যে বলে অনুমান করা হয়। ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৩৭১টি সুমাত্রা-বাঘ বাস করে। নেপালের জাতীয় উদ্যান এবং অভয়ারণ্যে ৩৫৫টি বাঘ রয়েছে। মালয়েশিয়ায় ১২০টি মালয়-বাঘ রয়েছে। বাংলাদেশ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের জন্য সংরক্ষিত অভয়ারণ্যে প্রায় ১০৬টি বাঘ বাস করে। থাইল্যান্ডে ১৪৮ থেকে ১৪৯টি ইন্দোচিনা বাঘ রয়েছে। এগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের প্রতীক। হুয়াই খা খায়েং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মতো সংরক্ষিত এলাকায় বসবাসকারী বাঘগুলো অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্য এবং আবাসস্থল হ্রাসের হুমকির সম্মুখীন।