প্রতিবেদন : সাধারণ মানুষের প্রবল চাপের কাছে নতিস্বীকার করল জুনিয়র ডাক্তাররা। শুক্রবার রাতে তারা কর্মবিরতি তুলে নেয়। যদিও দাবি না মিটলে আমরণ অনশনের কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তব হল এটাই, জুনিয়র ডাক্তাররা শতধা বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই। বেশিরভাগ জুনিয়র ডাক্তার কাজ বন্ধ করে হুমকির রাজনীতি বরদাস্ত করছেন না। হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসা না পাওয়ায় ডাক্তারদের উপর মানুষের ক্ষোভ বাড়ছিল।
আরও পড়ুন-আরজি কর : জিডির তথ্যে লুকিয়ে রহস্য
সিনিয়র ডাক্তাররাও কর্মবিরতিতে সায় না দিয়ে সরাসরি বিরুদ্ধাচারণ করেছেন। এই অবস্থায় কর্মবিরতি তুলে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনও পথ ছিল না জুনিয়রদের। তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, সকলেই সেই পড়ুয়া খুনের ন্যায় বিচারের পক্ষে। সরকার ও দলও। রাজ্য সরকার ২৪ ঘন্টার মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে। তারপর দেড় মাস ধরে সিবিআই তদন্ত করে খুনের মামলায় একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, কর্মবিরতিতে লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন। এটা কোন ধরনে ন্যায়বিচার! সুপ্রিম কোর্টের রায়কে এরা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, উপেক্ষা করছে। বহু জুনিয়র ডাক্তার কাজে ফিরতে চাইছেন। সেখানেও চলছে থ্রেট কালচার। চিকিৎসায় অরাজকতা তৈরি করতে একাংশের সিনিয়র ডাক্তার প্ররোচনা দিয়েছেন। এখন অনেকেই আন্দোলন তুলে নিতে চাইছেন, কারণ ঘুরতে যাওয়ার, বিদেশে যাওয়ার টিকিট কাটা রয়েছে তো! চিকিৎসায় বঞ্চিত সাধারণ মানুষ এখন প্রশ্ন করছেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। তারপর দেড় মাসে একজনকেও খুনের তদন্তে নিট ফল শূন্য। সিবিআই রোজ গল্প ছাড়ছে। শুধু জানাতে পারছে না, খুন কে করেছে। তাহলে কেন এই আন্দোলন?