প্রতিবেদন : অন্যায়ভাবে জল ছেড়ে বাংলাকে বীভৎস বন্যার মুখে ফেলে দিয়েছে ডিভিসি। তিনদিনের বেশি সময় ধরে জলের তলায় রয়েছে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বীরভূম জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। দুর্গাপুজোর আগেই নিঃস্ব হয়েছে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ। জলের তোড়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। রাজ্যবাসীর এমন দুঃসময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বুধবার থেকেই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রশাসনের আধিকারিকরা। বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকায় নৌকোয় করে ত্রাণসামগ্রী, ওষুধপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে সেই কাজ। হুগলি জেলার বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকায় জেলা পরিষদের তরফে নামানো হয়েছে স্পিড বোট। সাংসদ মিতালি বাগ নিজেও নৌকোয় করে মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরাও দল বেঁধে স্পিড বোটে করে পৌঁছে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের কাছে। ওষুধপত্র ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সমস্ত বন্যাকবলিত এলাকায়। অন্যদিকে, বন্যাদুর্গতদের কাছে ছুটে গিয়েছেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফাইজুল হক। শনিবার দুবরাজপুর এবং সিউড়ির বেশ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। অতিবৃষ্টির ফলে কতটা ক্ষতি হয়েছে, কোন কোন কাজের দ্রুত প্রয়োজন রয়েছে, সেই নিয়ে দুর্গতদের আবেদন শোনেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-রাজ্য জুড়ে ১৭৫ কিলোমিটারের কৃতজ্ঞতার মানববন্ধন, আমার হাত তোমার হাতে আমরা সবাই দিদির সাথে
এদিন বীরভূমের কঙ্কালীতলা, দুবরাজপুর বিধানসভার লোবা গ্রাম, চুড়ি বিধানসভার ভুরখুনা গ্রামের মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়া হয়। আগামীকাল আরও ত্রান নিয়ে যাবেন কাজল শেখ। গৃহহীনদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বানভাসি অঞ্চলগুলি থেকে দুর্গতদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সামনেই আবার পুজো আসন্ন। তাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে মানুষদের হাতে সাধ্যমতো নতুন জামাকাপড়ও দেওয়া হচ্ছে।