সংবাদদাতা, কাটোয়া : চাকরি নিয়ে স্বামীর আপত্তি না শোনায় কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামের বছর তেইশের বধূ রেণুকা খাতুনের হাত কেটে নিয়েছিল স্বামী। তাতেও নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না রেণুকাকে। হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পরই বাঁ হাত দিয়ে লেখা অভ্যাস করতে শুরু করেছেন। বুঝিয়ে দিচ্ছেন লড়াইয়ের ময়দান থেকে এত সহজে সরে যেতে রাজি নন। নিজের পায়ে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। বললেন, শুনেছি রাজ্য সরকার চাকরিতে সাহায্য করবে। পেলে জান লড়িয়ে দেব। কোনও খামতি রাখব না।
আরও পড়ুন-হোমস্টে করলেই সরকারি সহায়তা মিলছে এক লাখ
হাত কেটে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশ, মঙ্গলবার, কেতুগ্রামের চাকটা বাসস্ট্যান্ড থেকে পাকড়াও করল মূল অভিযুক্ত সেরাফুল শেখের বাবা সিরাজ শেখ ও মা মেহেরনিকা বিবিকে। সেরাফুল, তার দুই সঙ্গী হাত কাটার জন্য যে টিনকাটার বড় কাতুরি ব্যবহার করেছে, সেটা খুঁজছে পুলিশ। কাটোয়া মহকুমা আদালত হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। রেণুকার দাদা রিপন শেখ প্লাস্টিকের প্যাকেটে লুকনো হাতের কাটা অংশটা যখন ডাক্তারদের কাছে নিয়ে যান, তখন পচন শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই জোড়া লাগানো যায় না। পরে কৃত্রিম কব্জি লাগানো যেতে পারে, জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। রেণুকা চিকিৎসাসংক্রান্ত নথি দিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন করবেন স্বাস্থ্যভবনে। রেণুকার পাশে ‘নার্সেস ইউনিটি’ নামে সংগঠন। রেণুকা সংস্কৃতে অনার্স নিয়ে স্নাতক। নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা করেন।