বিহারের (Bihar) নওয়াদার দলিত কলোনিতে হিংসা, চলল গুলিও ৷ সেখানেই শেষ নয়, জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শতাধিক বাড়িঘর। নিমেষের মধ্যে ছারখার হয়ে যায় একাধিক বাড়ি ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু ততক্ষনে সর্বস্ব হারিয়ে চারদিকে হাহাকার। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ২১ টি বাড়ি জ্বালানো হয়েছে ৷ দলিত পরিবারগুলির বেশকিছু গবাদি পশু মারা গিয়েছে ৷ পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, ১৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলাশাসক থেকে জেলার এসপি’ও এলাকায় যান ৷ এমন এক নিন্দনীয় ঘটনার পর রাজ্যের রাজনীতিও ‘উত্তপ্ত’ হয়ে উঠেছে। নেপথ্যের কারণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রাথমিক তদন্তে খবর, জমি সংক্রান্ত দু’পক্ষের বিবাদের ফলে এমন ঘটনা ৷ বস্তুত, এনডিএ ডাবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে দলিত সম্প্রদায়ের কি পরিণতি হয়েছে নওয়াদার ঘটনাই তার প্রমাণ।
আরও পড়ুন-“পরিকল্পিতভাবে বাংলাকে ডোবাচ্ছে”, কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
সময়ের সাথে সাথে বিহারের ‘জঙ্গলরাজ’ ক্রমশঃ প্রকট হয়ে উঠছে। এভাবেই সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বিজেপি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও রাজ্য পুলিশ স্বভাবসিদ্ধভাবেই সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করে দলিত পরিবারগুলির ওপরেই দোষ চাপায়। এবং বলে তারা সরকারি জমিতে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। তবে এই ঘটনায় কোনও মৃত্যু ঘটেনি। মল্লিকার্জুন খাড়গে এই হামলা নিয়ে ইতিমধ্যেই লিখেছেন, “এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় যে প্রায় ১০০টি দলিত বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে ৷ সেখানে গুলিও চালানো হয়েছে ৷” বিজেপি এবং জেডি উভয়েরই সমালোচনা করে লেখেন, ”দলিত এবং সুবিধাবঞ্চিতদের প্রতি বিজেপির অবহেলা, অপরাধমূলক ঘটনা এবং অসামাজিক কাজকর্ম চরমে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি যথারীতি নীরব, নীতীশ কুমার তাঁর ক্ষমতার লোভে উদাসীন।”