বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা:ঢাকার কেরানিগঞ্জে রাস্তার পাশ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর (Raima Islam Shimu) (৩৫) বস্তাবন্দি দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
কেরানিগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় বস্তাবন্দি অবস্থায় রাইমা ইসলাম শিমুর (Raima Islam Shimu) মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কেরানিগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি টুকরা করে দুটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়েছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, যেহেতু মরদেহটি বস্তাবন্দি ছিল এবং গলায় দাগ ছিল, তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অভিনেত্রীকে খুন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন – প্রয়াত নারায়ণ দেবনাথ, বাংলার কার্টুন সম্রাটকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য
স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে শিমু রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকায় থাকতেন। রবিবার সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। তাঁর মোবাইল বন্ধ থাকায় ওই রাতে কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন স্বজনরা।
এদিকে, শিমু হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁর স্বামী নোবেল ও নোবেল-এর বন্ধু ফরহাদকে আটক করেছে র্যাব। সোমবার গভীর রাতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়।
শিমু’র স্বামী নোবেলকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছে শিমু’র ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। ওই মামলা নোবেল-এর বন্ধু ফরহারকেও আসামি করা হয়েছে।
শিমু চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে ১৮৪ জনের সঙ্গে তাঁর সদস্যপদও বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া অন্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব ছিলেন।
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপোলি পর্দায় তার অভিষেক হয়। একে একে অভিনয় করেছেন ৫০টিরও বেশি নাটকে। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও দর্শকরা তাঁকে পেয়েছে।