সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীতে গবেষক অধ্যাপিকাকে ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত অধ্যািপক রাজর্ষি রায় ১৪ দিনের জেল হেফাজতে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের চেষ্টা, প্রাণনাশের হুমকির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্বভারতীর পরিদর্শক দ্রৌপদী মুর্মুকে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন ভিবিইউএফএ অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ও কৌশিক ভট্টাচার্য। তাঁদের বক্তব্য, বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও প্রচার করেন ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-উদাসীন রেল, জখম ও নিখোঁজের পরিবারের পাশে রাজ্য
অথচ সেখানেই এক মহিলা গবেষকের উপর শারীরিক নিগ্রহের ঘটনায় নিগৃহীতাকে সাহায্য না করে পক্ষান্তরে অপরাধীকে আড়াল করতে চাইছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সুদীপ্তবাবু বলেন, উপাচার্য নিজে যৌন হেনস্থার প্রমাণিত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলেই হেনস্থাকারীদের আড়াল করেন। অর্থাৎ রতনে রতন চেনে। একদিকে তিনি দীর্ঘ কয়েক মাস আইসিসি রিপোর্ট ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে অভিযুক্তকে আড়াল করেছেন, ১৪ দিনের জেল হওয়া সত্ত্বেও নিয়ম মেনে সাসপেন্ড করেননি।
আরও পড়ুন-নিশীথের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
পুলিশে এফআইআর হওয়ার পর তড়িঘড়ি রিপোর্ট দেওয়া হয়। অন্যদিকে কোনও মহিলার অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও নিজেই মিথ্যে অভিযোগ এনে আইসিসিকে অপব্যবহার করে আমাকে ফাঁসাতে চেয়েছেন, যা আদালত প্রতিহত করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। আমরা অবিলম্বে এই উপাচার্যর শাস্তি দাবি করছি। উল্লেখ্য, এডুকেশন বিভাগের গবেষক অধ্যাপিকাকে সাত বছর ধরে তাঁর গাইড অধ্যাপক রাজর্ষি রায় গবেষণাপত্র সংশোধনের অছিলায় জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা ও শারীরিক নিগ্রহ করেন। শারীরিক সম্পর্ক না করায় গবেষণাপত্রে সই করতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় বাহিনীর তীব্র অত্যাচারে এখনও আতঙ্ক মতুয়ানগরীতে
বিভাগীয় প্রধানদের কাছে লিখিত অভিযোগ করার পরেও গত বছর জুনে ফের শারীরিক-মানসিক নিগ্রহের চেষ্টা করায় বিশ্বভারতীর অভ্যোন্তরীণ অভিযোগ কমিটির কাছে লিখিতভাবে রাজর্ষি রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই গবেষিকা। এক বছর পরেও কমিটির রিপোর্ট জানতে না পেরে এ বছর মে মাসে তথ্যঅ জানার অধিকারে দরখাস্ত ও শান্তিনিকেতন থানায় রাজর্ষি রায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের একদিন আগে কমিটির রিপোর্ট হাতে পান, যেখানে রাজর্ষি রায়কে অভিযুক্ত করা হয়। পুলিশ এই রিপোর্ট পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে তুললে ১৪ দিনের জেল হয় অভিযুক্তের।