প্রতিবেদন : এক নতুন রাজনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ (Bangladesh- BNP)। দেশের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার ঢাকার গোলাপবাগে মহাসমাবেশের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশের সবথেকে বড় বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি। এই সমাবেশ থেকে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে বিএনপি। ওই সমাবেশ থেকেই পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দলের ৭ সাংসদ।
সমাবেশের মঞ্চ থেকেই বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপি সাংসদ গোলাম মহম্মদ সিরাজ প্রথম পদত্যাগের ঘোষণা করেন। এরপর অন্য সাংসদরা পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। দেশের বাইরে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ মহম্মদ হারুন রশিদের হয়ে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন গোলাম মহম্মদ। এতদিন জাতীয় সংসদে বিরোধী বলতে ছিলেন বিএনপি-র ৭ সদস্য। কিন্তু তাঁদের পদত্যাগে বিরোধী শূন্য হয়ে পড়ল বাংলাদেশের (Bangladesh- BNP) সংসদ। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিরোধী হিসেবে শাসকদলের বিরুদ্ধে এখন কারা প্রশ্ন তুলবেন।
আরও পড়ুন-আজ মেঘালয়ে তৃণমূলনেত্রী, সঙ্গে অভিষেক
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সংসদ ভবনে স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরির কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপির পাঁচ সাংসদ। সংসদ ভবনের সামনে বিএনপির পদত্যাগী সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া-সহ দলের নেতাদের মুক্তি ও বিএনপির চলতি আন্দোলন জোরদার করতে আমরা জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়াকে আন্দোলনের সূচনা হিসাবে উল্লেখ করেছেন বগুড়া-৬ আসনের সাংসদ গোলাম মহম্মদ। অন্যদিকে সে দেশের নির্বাচন কমিশনার মহম্মদ আলমগির জানিয়েছেন, পদত্যাগের ৯০ দিনের মধ্যে শূন্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।