সব জাতিকেই সম্মান, তাই সর্ব ধর্ম উন্নয়ন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Must read

প্রতিবেদন : বাংলা সর্বধর্ম সমন্বয়ের রাজ্য। তাই এখানে মন্দিরের পাশাপাশি মসজিদেরও যেমন উন্নয়ন হয় তেমন শ্মশানের পাশাপাশি উন্নয়ন হয় কবরস্থানেরও। গত ১৪ বছরে তাঁর সরকার কী কী উন্নয়ন এবং জনকল্যাণের কাজ করেছে, মঙ্গলবার নবান্নে তার খতিয়ান পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এই বৈঠক থেকেই তিনি জানান, ডিসেম্বর থেকেই শুরু হবে দুর্গাঙ্গন তৈরির কাজ। নিউ টাউনে এই দুর্গা অঙ্গন নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে আবাসন পরিকাঠামো উন্নয়ন পর্ষদ (হিডকো)।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বলেন— শিখ, হিন্দু সব জাতিকে আমরা সম্মান করি তাই সবার উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করেছি। এরপরে মুখ্যমন্ত্রী খতিয়ান তুলে ধরে বলেন সারনা, সারি ধর্মের জন্য বিল পাশ হয়ে গেছে বিধানসভায়, কেন্দ্র সরকারকে বলব বিষয়টা দেখে নিতে।
আমরা দুর্গাপুজোয় যেমন ছুটি দিই, তেমন ইদেও দিই, ছট পুজোতেও দিই, হোলিতে ছুটি দিই।

আরও পড়ুন-দেশের মডেল বাংলা: ১৪ বছরে ২ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান, ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, সংখ্যালঘু উন্নয়নে আমরা দেশের সেরা। ৪.৮৫ কোটি সংখ্যালঘু ঐক্যশ্রী পায়। ৯৯০০ কবরস্থানের প্রাচীর নির্মাণ করেছি। ইমাম মোয়াজ্জেমরা আমাদের জন্য কাজ করেন, হজযাত্রীদের জন্য আমরা সাহায্য করি। সব ধর্মের তীর্থস্থানে আমরা উন্নয়ন করেছি। কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির যেমন করা হয়েছে তেমন, মাটিগাড়ায় মহাকাল মন্দিরের জন্য জায়গা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক-সহ একাধিক উন্নয়ন করা হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি, সিস্টার নিবেদিতার দুটো বাড়ি কিনে দেওয়া হয়েছে। মা সারদার বাড়ি উন্নয়ন করা হয়েছে। তারকেশ্বর, তারাপীঠে উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করা হয়েছে। কালীঘাটে স্কাইওয়াক উন্নয়ন করা হয়েছে। কঙ্কালীতলা, ফুল্লোরা মন্দির, কপিলমুনি আশ্রম, কোচবিহারে মদনমোহন মন্দির, শিবযজ্ঞ মন্দিরের মতো উন্নয়ন করা হয়েছে ফুরফুরা শরিফ, গাজি জাফর খান দরগারও। তৈরি করা হয়েছে উন্নয়ন বোর্ড। তারকেশ্বর, বক্রেশ্বর, তারাপীঠের জন্য উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।

এছাড়াও লোকনাথ ঠাকুরের কচুয়া, চাকলা ধামের জন্য, অনুকূল ঠাকুরের নামে জমি দেওয়া হয়েছে।

Latest article