প্রতিবেদন : আগামিকাল, সোমবার ২২-এ সংহতি মিছিলে, জনপ্লাবনে ভাসবে কলকাতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হাজরা মোড় থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত সর্বধর্ম সমন্বয়ের এই মিছিলে পা মেলাবে গোটা শহর। ওইদিন কলকাতার গন্তব্য, হাজরা মোড় কিংবা পার্ক সার্কাস ময়দান। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সর্বধর্ম সমন্বয়ের এই পদযাত্রায় সামনের সারিতে থাকবেন সব ধর্মের ধর্মগুরুরা। একাধিক হিন্দু সংগঠন যোগ দেবে এই মহামিছিলে।
আরও পড়ুন-ধান কেনাতেও কেন্দ্রের বঞ্চনা, তবু স্বনির্ভর প্রকল্পে ৩০ হাজার কোটি
শুধু কলকাতা নয়, গোটা বাংলা জুড়ে ব্লকে ব্লকে ওই সর্বধর্ম মিছিল হবে। সেই সব মিছিলেও সব ধর্মের প্রতিনিধিরা সামনের সারিতে থাকবেন। সংহতি মিছিলে যোগ দিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, রামমন্দির নিয়ে রাজনৈতিক প্রচার নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বধর্ম সমন্বয়ের পথেই হাঁটবে তারা। একই সঙ্গে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে মিছিল করবে তারা। পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সম্পাদক তপনকুমার মিশ্র শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা সর্বধর্ম মিছিলে পা মেলাব। তাঁর কথায়, ২৩টি জেলার প্রত্যেক ব্লকে ভূদেব মণ্ডলী অর্থাৎ জেলা সংগঠনের সদস্যরা মিছিল করবেন। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল শুরুর আগে ঠিক বিকেল ৩টেয় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেবেন। এরপর হাজরা মোড় থেকে শুরু হবে মিছিল। বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে কিছুক্ষণের জন্য মিছিল দাঁড়াবে। কাছের একটি গুরুদ্বারে প্রার্থনা করবেন নেত্রী। এরপর মিছিল পৌঁছবে সোজা পার্ক সার্কাস ময়দানে। সেখানে একটি গির্জা ও একটি মসজিদেও প্রার্থনা করবেন তিনি।
আরও পড়ুন-সমস্যা সমাধান ও জনসংযোগ কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া
এছাড়া ওইদিন কলকাতার সমস্ত মন্দির-মসজিদ-গির্জাতেও যাতে প্রার্থনা হয় সেই ব্যবস্থা করছেন। মিছিল শেষে পার্ক সার্কাস ময়দানে বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখবেন সব ধর্মের প্রতিনিধিরা। এই সভার মঞ্চে কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্ব থাকবেন না। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন বাদে কলকাতার রাজপথে একটি বিশাল মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন। স্বাভাবিক ভাবেই কাতারে কাতারে মানুষ এসে জড়ো হবে সেই মিছিলে। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সাংগঠনিকভাবে তৈরি গোটা দল। এছাড়াও পরিস্থিতি ও সময়ের দাবি অনুযায়ী অসংখ্য মানুষ এই মিছিলে ধর্মগুরুদের সঙ্গে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পা মেলাবেন। কৃষ্টি-সংস্কৃতি অনুযায়ী বাংলা চিরকালই সব ধর্মের মানুষকে আপন করে নিয়েছে। এটাই বাংলার চিরাচরিত চেহারা।