প্রতিবেদন : প্ররোচনা ছিল। ছিল বিক্ষিপ্ত অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা। তবুও দু’একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া রবিবারের রাজ্যজোড়া বড় নির্বাচনে সসম্মানে উত্তীর্ণ পুলিশ-প্রশাসন (West Bengal Police)। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১০৮ পুরসভার ভোট করাতে আস্থা রেখেছিল রাজ্য পুলিশের উপরেই। ধুলিয়ান থেকে শুরু করে ফালাকাটা, বেশ কয়েকটি এলাকায় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েও গুলি চালায়নি পুলিশ। ধৈর্য আর শৃঙ্খলার পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কড়া নজরদারি চলেছে সংবেদনশীল ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। ঝামেলা ঠেকাতে রুট মার্চ করেছে বাহিনী। তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, বিজেপি-বাম-কংগ্রেসের সম্মিলিত অপচেষ্টা সত্ত্বেও ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ। তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোটের খতিয়ান তুলে ধরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন নির্বিঘ্নে ভোট করাতে মোতায়েন করা হয়েছিল ৪৪ হাজার পুলিশ কর্মী। আদালতের নির্দেশে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১০৭টি পুরসভার ভোটের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। প্রতি পুরসভা এলাকায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। ছিলেন ১৬ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক। এছাড়া কমিশন শুক্রবারই আরও ১০ জন আইএএস আধিকারিককে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে। ১০৮টি পুরসভার ২২৭৬টি ওয়ার্ডে ভোট। রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) ডিজি মনোজ মালব্য এদিন বলেন, কোনও বড় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোট পডে়ছে অনেক। কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেও ভোট হয়েছে। আমরা যে ভালভাবে ভোট করাতে পারি এদিন তা প্রমাণিত। মানুষ আমাদের বিশ্বাস করেছে।