প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) নতুন বালিখাদান নীতি চালু হওয়ার পর থেকে এই খাতে রাজ্যের রাজস্ব আদায় চারগুণ বেড়েছে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে রাজ্য সরকার বালি খাদানের নতুন নীতি চালু করে। এর পরে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে খাদান থেকে বালি তোলা এবং এবং পরিবহণ খাতে রয়ালটি ও সেস বাবদ রাজ্য সরকার ৪০০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে বলে রাজ্যের খনিজ সম্পদ উন্নয়ন নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে। নতুন বালি খাদান নীতির রূপায়িত হওয়ার আগে ওই খাতে রাজ্যের বার্ষিক আয় ছিল একশো কোটি টাকা। সরকারের নতুন নীতি অনুযায়ী খাদানের নিলাম ও বালি তোলা ও পরিবহণ সংক্রান্ত অনুমোদনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে করার পরে এ পর্যন্ত ২৭ লাখের বেশি ই-চালান তৈরি করা হয়েছে। রেল এবং সড়কপথে আন্তঃরাজ্য বালি পরিবহণের অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়াও অনলাইনে আনা হয়েছে। বালি খাদানগুলির ওপরে নজরদারি আরও মজবুত হয়েছে। এর ফলে, রাজ্যে (West Bengal Government) অবৈধভাবে বালি পাচার বন্ধ হয়েছে এবং রাজস্ব আদায় বেড়েছে বলে নিগমের সূত্রে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে নতুন বালি খাদান নীতির আওতায় খাদান নিলাম করে আগামী পাঁচ বছরে ১১০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হবে বলে অনুমান রাজ্য সরকারের। যা ওই খাদানগুলি থেকে প্রাপ্য রয়ালিটি সেস ও রাজস্বর থেকে অনেক বেশি। ১১৫৪ হেক্টর এলাকায় বিস্তৃত শতাধিক বালি খাদান নিলাম করার মধ্য দিয়ে এই রাজস্ব আদায় করা হবে বলে রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০২১-এ ওই নতুন বালি খাদান নীতি কার্যকর করার পরে চারটি পর্যায়ে বালি খাদানগুলি নিলাম করে নতুন মাইন ডেভেলপার ও অপারেটরদের বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।