চর্চায় দুই বাংলা ছবি

বহুচর্চিত দুই ছবি একদিকে দেবের ‘ধূমকেতু’ এবং অন্যদিকে নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ‘রক্তবীজ ২’। গতকাল মুক্তি পেল ‘ধূমকেতু’ এবং প্রথম ঝলক প্রকাশ হল ‘রক্তবীজ ২’-এর। দুটো নিয়েই দশর্কদের উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। লিখেছেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

‘ধূমকেতু’-ঝড় শুরু
দু’দিন আগেই বাংলা ছবিকে প্রাইমটাইমে বাধ্যতামূলক করার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর তারপরের দিন মুক্তির আগেই নতুন রেকর্ড গড়ল পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি ‘ধূমকেতু’ (dhumketu)। বাংলা ছবি টেক্কা দিল বলিউডি ছবিকে। একইসঙ্গে মুক্তি পেয়েছে দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ আর ঋত্বিক রোশন, জুনিয়র এন টি আরের ‘ওয়ার ২’ কিন্তু গোটা বাংলা সেই ‘ধূমকেতু’-জ্বরেই ভুগল। ধূমকেতুর টিকিটের চাহিদা এতটাই ছিল যে শো টাইম বাড়াতে হয়েছে হল মালিকদের। মুক্তির দিন সকাল ৭টার শোতেও প্রথমবার কোনও বাংলা ছবি ছিল হাউসফুল। রামচন্দ্রের বনবাসের চেয়ে কিছু কম ছিল না ‘ধূমকেতু’র বনবাস। পাক্কা দশ বছর অপেক্ষা। এমন অপেক্ষায় কেউ থেকেছেন কখনও! এই আবেগের ধারপাশে কেউ নেই। এ যেন সুপ্ত আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠা।

আরও পড়ুন-নিমিশাকে নিয়ে আপাতত ভয়ের কিছু নেই, সুপ্রিম কোর্টে এবার জানাল কেন্দ্র

‘ধূমকেতু’র (dhumketu) সবচেয়ে বড় সাফল্য ছবিটা দেখতে বসলেই বুঝবেন দশ বছর পরেও এই ছবি কতটা সমসাময়িক। গল্পের নায়ক ভানু সিংহ যার ছোট্ট ছোট্ট স্বপ্নের আড়ালে জিইয়ে রাখা জলন্ত প্রতিশোধের আগুন, শান্ত সর্বহারা চোখের আকুতি, প্রতিমুহূর্তে হেরে যাওয়ার যন্ত্রণা, ফিরতে না পারার সেই সংকট, ভালবেসেও বঞ্চিত থেকে যাবার অপারগতা দর্শকের চোখে জল আনবেই। ছোট্ট পাহাড়ী জনপদ মোহনগঞ্জে হঠাৎ খুন হয় ভানুর ভাই রবি সিংহ। কর্মহীন শ্রমিকদের পক্ষে দাঁড়ানোর খেসারত দিতে হয় রবিকে। রাতারাতি গা ঢাকা দিতে হয় ভানুকেও। সে আর ফেরে না। বাবা, মা সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী রূপাকে ছেড়ে হারিয়ে যায় ভানু। চারবছর পরে ফিরে আসে এক অন্য ভানু। বৃদ্ধ ইন্দ্রনাথ খাসনবীশের ছদ্মবেশে। খালি হাতে আসেনি সে। যে ভানুকে সবাই মৃত বলে জানে হঠাৎ কেন ফিরল সে? কী তার উদ্দেশ্য? এর পরেরটুকু তোলা থাক ‘ধূমকেতু’ দেখতে বসেই না হয় হবে সেই রহস্যের উদ্ঘাটন। এই ছবিটা পুরোপুরি দেব-এর। শুরু থেকে শেষ দেবকেই দেখবেন দর্শক। অসাধারণ প্রস্থেটিক মেকাপে ইন্দ্রনাথ খাসনবীশকে মনে থেকে যাবে সবার আর মনে থেকে যাবে তাঁর অভিনয়। দশবছর আগের শুভশ্রী যেন সদ্য ফোটা ফুল। নিষ্পাপ অভিনয়। দেব-শুভশ্রীর অনস্ক্রিন রসায়নে মজবেই জেনারেশন ওয়াই, জেড। বাদ বাকিরা প্রত্যেকেই অসাধারণ। আর ছবির গানগুলো শুনলে হৃদয় যেন আবেগতাড়িত ওঠে! অরিজিৎ-শ্রেয়ার ‘গানে গানে যদি’ অনুপম রায়ের সুরে গাওয়া মনে রেশ রেখে যায়।

Latest article