তিনি বদলেছিলেন বাংলা নাটকের ইতিহাস। এনেছিলেন নতুন ধারা। তিনি হলেন বাংলা নাট্য-আন্দোলনের নব পথিকৃৎ কিংবদন্তি নাট্যকার বাদল সরকার। বাংলা নাট্যজগতে যাঁর আবির্ভাব ষাটের দশকে। তাঁর রচিত কালজয়ী নাটকে মুগ্ধ আপামর নাট্যমোদী দর্শক। ২০২৫-এ চলছে তাঁর জন্মশতবর্ষ। এই উপলক্ষে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁরই অন্যতম কালজয়ী নাটক ‘পাগলা ঘোড়া’ (Pagla Ghora) রুপোলি পর্দায় আনতে চলেছেন পরিচালক শেখর দাস। শেখর দাসের পরিচালনায় এই ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন রজতাভ দত্ত, গার্গী রায়চৌধুরী, সুজন মুখোপাধ্যায়, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, শ্রীজাত সাহা, দীর্ঘই পাল প্রমুখ। ছবিটিতে সঙ্গীত পরিচালনা করছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। প্রযোজনায় স্বভূমি ফিল্মস। অনেকদিন পর পরিচালনায় ফিরলেন শেখর দাস। নিজে একটা সময় প্রচুর নাটক করতেন। তাই নাটক সম্পর্কে জ্ঞান, ভালবাসা, আবেগ— সবই রয়েছে তাঁর। বাদল সরকার তাঁর প্রিয় নাট্যকারদের মধ্যে অন্যতম। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দমন-পীড়ন অবরুদ্ধ আবেগ নিয়ে লেখা ‘পাগলা ঘোড়া’ (Pagla Ghora) নাটকটি একসময় মঞ্চে দর্শকদের নাড়িয়ে দিয়েছিল। যা এবার বড়পর্দায় দেখবেন দর্শক। এই উপলক্ষে বুধবার নন্দনে সাংবাদিক বৈঠক করেন পরিচালক শেখর দাস-সহ বেশ কিছু কুশীলব। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে প্রযোজনা সংস্থা স্বভূমি এন্টারটেইনমেন্টের তরফে ড. প্রবীর ভৌমিকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন গার্গী রায়চৌধুরী, রজতাভ দত্ত প্রমুখ। সেখানে এই প্রসঙ্গে পরিচালক শেখর দাস বলেন, ‘‘এই ছবিটি কেবল একটি নাটকের সিনেমায় রূপান্তর নয়। এটি বাদল সরকারের চেতনা, তাঁর উৎসাহ এবং তাঁর প্রতিভার প্রতি বিশ্বস্ত এবং নির্ভীক পুনর্ব্যাখ্যা।’’
অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী বললেন, ‘‘যতবার পাগলা ঘোড়া পড়েছি মনে হয়েছে কী সাঙ্ঘাতিক সিনেম্যাটিক একটা নাটক। এর মধ্যে নাটক আছে কিন্তু কোথাও অতি নাটকীয়তা নেই। আদ্যন্ত একটা বাংলা ছবি। তাই অফারটা পেয়ে দ্বিতীয়বার ভাবিনি।’’ রজতাভ দত্ত বললেন, ‘‘বাদল সরকারের নাটকে কাজ করার সুযোগ পাওয়া মানেই সম্মান। নাট্যজগতের মানুষ মাত্রেই এই নামটা শ্রদ্ধায় উচ্চারণ করেন। বড় পর্দায় ওঁর নাটকে কাজ করব ভাবতেই শিহরন হচ্ছে।’’ শুরু হয়েছে ছবির শ্যুটিংও। এই ছবি নিয়ে যে প্রত্যাশা থাকবেই দর্শক তথা নাট্যপ্রেমীদের তা বলাই যেতে পারে।
আরও পড়ুন-তুঘলকি কেন্দ্র, বিমানবন্দরের ২০ কিমির মধ্যে বহুতল নয়!