প্রতিবেদন : কলকাতার (Kolkata- Ring Road) সঙ্গে শহরতলির যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটাতে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পরিধির একটি রিং রোড তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। বজবজ থেকে বসিরহাট, কল্যাণী থেকে পাঁচলা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাকে প্রস্তাবিত এই রিং রোডের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে। যার আনুমানিক খরচ প্রায় চার হাজার কোটি টাকার বেশি। একইসঙ্গে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর চাপ কমাতে বাউড়িয়া থেকে বজবজ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার গঙ্গার উপর দিয়ে একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেটাই হবে তৃতীয় হুগলি সেতু। এই সেতু নির্মাণে খরচ পড়বে দেড়শো কোটি টাকা। সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে এই রিং রোড তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। সেখানে এই বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই বেসরকারি সংস্থার চেয়ারম্যান লালা কে কে রায় বলেন, মোট ২০০ কিলোমিটার অংশ জুড়ে এই রিং রোড (Kolkata- Ring Road) তৈরি হবে। জাতীয় সড়কের যোগসূত্র হাওড়ার পাঁচলা থেকে বাউড়িয়া হয়ে গঙ্গার উপর গিয়ে বজবজে গিয়ে মিশবে। রিং রোড ধরে গাড়ি যাতায়াতে টোল থাকবে। আপাতত মোট আট লেনের হবে এই রাস্তা। বাণিজ্যিক গাড়ির চলাচলের ক্ষেত্রেও এই রাস্তা উপযোগী হবে। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন বড় বড় শহরে যানজট এড়াতে রিং রোডের পরিকল্পনা করেছে। কলকাতার ক্ষেত্রেও এই পরিকল্পনা নেওয়ার কথা কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে বলে জানান সংস্থার কর্ণধার। তবে প্রক্রিয়া যে বেশ জটিল, তা মানছেন কর্ণধাররাও। কারণ, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে টাকার জোগান যেমন প্রয়োজন, তেমনই প্রয়োজন জমিরও। তবে এই রিং রোড এলিভেটেড হবে। এদিন সরকারের বিভিন্ন দফতরের পাশাপাশি শিবপুর ও যাদবপুরের বিশেষজ্ঞরাও উপস্থিত ছিলেন। নবান্ন সূত্রে খবর, পুরো প্রক্রিয়াটিই এখন প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা বৈঠক করবেন। তারপর তা পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, দিল্লিতে এই রিং রোড রয়েছে। এবার কলকাতায় এই রিং রোডের পালক বাস্তবায়ন হয় কি না, তা নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রীর উপর।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরিষেবায় দুশো কোটি