নয়াদিল্লি, ৯ অক্টোবর : টেস্ট সিরিজের পর টি ২০ সিরিজও দাপটে জিতল ভারত। সেটাও এক ম্যাচ বাকি রেখে। সূর্যরা বুধবার বাংলাদেশকে ২২২ রানের টার্গেট দিয়েছিলেন। তারা ১৩৫/৯-এর বেশি এগোতে পারেনি।
গোয়ালিয়রের মতো দিল্লিতেও শুরু থেকে উইকেট হারাল বাংলাদেশ। পারভেজ ইমনকে (১৬) অর্শদীপ তুলে নেওয়ার পর লাগাতার উইকেট হারান শান্তরা। বরুণ চক্রবর্তী ১৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে বিপক্ষের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিলেন। দুটি উইকেট নেন ৭৪ রান করা নীতিশ রেড্ডিও। সূর্য যে সাত বোলারকে ব্যবহার করলেন, তাঁরা সবাই উইকেট নিয়েছেন। অবসরের মুখে দাঁড়িয়ে মাহমুদ্দুল্লা ৪১ রান করেন। বাকিরা সবাই ব্যর্থ হয়েছেন।
আরও পড়ুন-লঙ্কা-জয়ে স্মৃতিরা দৌড়েই
মিরাজের প্রথম ওভারে ১৫ রান তুলে টিম গম্ভীর বার্তা দিয়েছিল, দিল্লিতেও আক্রমণ জারি থাকবে। কিন্তু পরের ওভারে টাসকিনের স্লোয়ারে ঠকে যান সঞ্জু স্যামসন (১০)। ১২২ কিমি গতিতে এসেছিল বলটা। পরের ওভারে তানজিম যে বলে অভিষেককে (১৫) বোল্ড করলেন, সেটা আবার এসেছে ১৪৭ কিমিতে। গতির এই তারতম্যে তৃতীয় ওভারের শেষে ভারতের রান ছিল ২৫/২।
বাংলাদেশ টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে দেওয়ার পর সূর্য বলছিলেন, আমি জিতলে ব্যাটই করতাম। দিল্লিতে রাতের দিকে শিশির পড়ে। বোলাররা এই চ্যালেঞ্জ কীভাবে নেন দেখতে চেয়েছিলেন সূর্য। তাতে বোলাররা সফল। কিন্তু মুস্তাফিজুর বল করতে এসে আরও এক স্লোয়ারে যখন সূর্যকে (৮) তুলে নিলেন, ৪১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত কিন্তু তখন চাপে পড়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন-প্রয়াত রতন টাটা, শোকজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর
দিল্লির উইকেট সহজ ছিল না। ডাবল পেসড মনে হয়েছে। টাসকিন, তানজিমদের বল জোরে এসেছে। থমকেও এসেছে। এতে পাওয়ার প্লে-র মধ্যে তিন উইকেট চলে যায় ভারতের। এদিন আগের ম্যাচের দল নিয়ে নেমেছিলেন সূর্যরা। রিঙ্কু, রিয়ানরা প্রথম ম্যাচে ব্যাটের সুযোগ পাননি। এদিন চাপের মুখে নেমে রিশাদকে লম্বা ছক্কা মেরে রিঙ্কু শুরুতেই আশ্বস্ত করে দেন। তারপর দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি।
তবে পরিস্থিতি বদলে দিয়েছিল রিঙ্কু-নীতিশ জুটি। তাই ১০ ওভারে ভারতের রান ছিল ১০১/৩। এই মাঠে ২০১৯-এর ছবিটা খুব ধূসর নয়। ভারতকে একবারই টি ২০ ম্যাচে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেটা সেবারই। এই দুজনের জুটিতে ১০৮ রান এল ৫১ বলে। শেষপর্যন্ত মুস্তাফিজুরের স্লোয়ারে নীতীশ (৩৪ বলে ৭৪) যখন মেহেদিকে ক্যাচ দিয়ে গেলেন, দল শক্ত জমিতে দাঁড়িয়ে।
আরও পড়ুন-জাঁকজমকে দুর্গোৎসব
রিঙ্কু প্রচুর ম্যাচুরিটি নিয়ে খেললেন এই ইনিংসে। চাপের মুখে নীতিশ যখন মারলেন, তিনি একটা দিক ধরে রেখেছিলেন। পরে মারলেন। ২৯ বলে ৫৩। নীতিশের ৭ ছক্কার পাশে রিঙ্কুর ৩। তবে ভারত যে ২২১/৯ তুলতে পেরেছে, সেটা হার্দিক পান্ডিয়ার ১৯ বলে ৩২ রানের জন্যও। আর ব্যাটে-বলে চমক দিয়ে ম্যাচের সেরা নীতিশ।