প্রশাসনের চূড়ান্ত ব্যর্থতা! এবার দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ওড়িশার কটক (Cuttack)। শনিবার রাত থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবারও সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এই ঘটনার পরেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের ১৩টি থানা এলাকায় নিষেধাজ্ঞামূলক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার এস দেবদত্ত সিংহ এই বিষয়ে জানিয়েছেন, রবিবার রাত ১০টা থেকে ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুন-জয়পুরের হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মৃত ৬ রোগী
দরগা বাজার, বাদামবড়ি, ক্যান্টনমেন্ট, পুরীঘাট, মঙ্গলাবাগ, লালবাগ, বিদানসি, সিডিএ ফেজ-২, মারকাট নগর, মালগোদাম, জগৎপুর, বয়ালিস মৌজা ও সদর থানা এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে বলে খবর। এর মাঝেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে “সম্পূর্ণ ব্যর্থতার” অভিযোগ তুলে আজ ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
আরও পড়ুন-আই লিগ নিয়ে আজ জরুরি সভা
রবিবার রাত ১.৩০ থেকে ২টোর মধ্যে কটকের দরগাবাজার এলাকার হাতি পোখরির কাছে অশান্তি শুরু হয়। সেই সময়ে নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা দেবীগড়ার দিকে কাঠজোড়ি নদীর তীরে যাচ্ছিল। নিরঞ্জনের সময় উচ্চমাত্রায় গান চলছিল। স্থানীয় কিছু মানুষ প্রতিবাদ করলেই অশান্তি সৃষ্টি হয়। সেই ঝামেলা কিছুক্ষনের মধ্যেই সংঘর্ষের রূপ নেয়। ছাদ থেকে শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে পাথর ও কাচের বোতল ছোঁড়া হয়। কটকের ডিসিপি খিলারি ঋষিকেশ জ্ঞানদেও সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এই ঘটনায়। চারপাশে থাকা কয়েকটি গাড়ি এবং রাস্তার ধারের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এরপরেই প্রায় তিন ঘণ্টা প্রতিমা নিরঞ্জন বন্ধ রাখা হয়েছিল। যদিও পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আবার শুরু করা হয়। পুলিশের তরফে খবর, একটা দল শহরে বাইক র্যালি করার অনুমতি চাইলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিনের ঘটনায় ডিসিপি ও জেলাশাসকের বদলির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা। দুর্গাপুজো উপলক্ষে এই ঘটনা আরো একবার প্রশাসন যে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সেই কথাই স্পষ্ট করে দিল।