রাজেশ খান, বর্ধমান: মন্থা-র প্রভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ দামোদর এলাকায় খাস বা সুগন্ধী ধানচাষিদের মাথায় হাত। দক্ষিণ দামোদরের একাধিক এলাকায় ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। জমিতে জল থাকায় সমস্যা বেড়েছে। চা-গ্রামের চাষি সুব্রতকুমার দত্ত জানিয়েছেন, গতবছর যাঁরা খাসধান বা গোবিন্দভোগের চাষ করেছিলেন, তাঁরা খুব ভাল দাম পেয়েছেন। তাই এবার অনেকেই ছত্রিশ বা অন্য আমন ধানের পরিবর্তে গোবিন্দভোগ চাষ করেছেন। ডিসেম্বর থেকেই ধান কাটা শুরু হবে। ইতিমধ্যেই ধান ফলতে শুরু করেছে। বৃষ্টিজনিত কারণে একটু দেরিতে রোপণ করা হলেও গাছের বৃদ্ধি ভাল হয়েছিল। এই অবস্থায় গত তিনদিন ধরে ভারী বৃষ্টি এবং সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে বহু জমিতে গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। ফলে ফলন ব্যাপক হারে মার খাবে। সুব্রত জানিয়েছেন, তিনি ২০ বিঘেতে গোবিন্দভোগ চাষ করেছিলেন।
আরও পড়ুন-ডার্বি ড্র করেই শেষ চারে ইস্টবেঙ্গল, সুপার কাপ শেষ মোহনবাগানের
অর্ধেকের বেশি জমিতে ধান শুয়ে পড়েছে। তাঁর ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচ করেন। আশা ছিল, বিঘাপ্রতি আট বস্তা ধান পাবেন। কিন্তু মান্থার প্রভাবে বড়সড় লোকসানের মুখে পড়তে চলেছেন। একই অবস্থা অন্য গ্রামের চাষিদেরও। যদিও জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মণ্ডল জানিয়েছেন, দক্ষিণ দামোদর এলাকাতেই এই সুগন্ধী ধানের চাষ হয়। এখনও পর্যন্ত কৃষি দফতরের যে রিপোর্ট তিনি পেয়েছেন তাতে ১০-১৫ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে। এখনও সময় আছে। শুক্রবার পর্যন্ত শস্যবিমার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। যে সমস্ত চাষি বিমা করিয়েছেন, তাঁদের ক্ষতির বিষয়টি দফতরের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হবে।

