নদী কমিশন : নির্বিকার কেন্দ্র ক্ষুব্ধ রাজ্য

বুধবার বিধানসভায় ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন গঠন করা নিয়ে ফের সরব হলেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।

Must read

প্রতিবেদন : ভোট এলেই উত্তরবঙ্গে বিজেপির (BJP) দেখা মেলে! পরিযায়ী পাখির মতো সব উড়ে আসে। কিন্তু কাজের বেলায় নেই। উত্তরবঙ্গের প্লাবনের সমস্যা নিরসনে আজ পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বুধবার বিধানসভায় ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন গঠন করা নিয়ে ফের সরব হলেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। বিধানসভায় ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন গঠনের আশু প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন তিনি। ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা সিসামারা নদী ভাঙনের জন্য সন্নিহিত এলাকার অধিবাসীদের দুরবস্থার কথা বিধানসভায় ব্যাখ্যা করেন। বলেন, অবিলম্বে বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা। এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষের মাধ্যমে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও পরিষদীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ভুটানের ৭৬টি নদী উত্তরবঙ্গকে ধ্বংস করছে। ইন্দো-বাংলাদেশ, ইন্দো-নেপাল রিভার কমিশন থাকলেও ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করেনি। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর নির্দেশ দিলেও এই বিষয়ে বিজেপি পরিষদীয় দল পরবর্তীকালে আর কোনও উৎসাহ দেখায়নি। অথচ, বিরোধী দলনেতার সম্মতিক্রমেই মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে দাঁড়ালে গোহারা হারবে, ভবানীপুরে এলে জামানত জব্দ হবে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রমাণ দিন গদ্দার নইলে হাঁটু গেড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চান

অধ্যক্ষ জানান, বিরোধী দল নমনীয়ভাবে আবেদন জানালে বিষয়টি নতুন করে বিবেচনা করা হতে পারে। এদিকে, ভারত-ভুটান নদী কমিশন নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরে বিরোধীদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। পরিষদীয় মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের স্বার্থে বিরোধীরা কী ভূমিকা নিচ্ছেন, মানুষ তা দেখছেন।

Latest article