সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : ফের একবার ভয়াবহ নদীভাঙনের (River erosion) মুখে পড়ল সামশেরগঞ্জ ব্লক। রবিবার রাত ন’টা থেকে হঠাৎই নিমতিতা পঞ্চায়েতের কামালপুরের গ্রামবাসীরা লক্ষ্য করেন গঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চলের মাটি বসে যেতে শুরু করেছে। কেউ কিছু বোঝার আগেই প্রায় ১৪টি বাড়ি নদীগর্ভে বসে যায়। ফলে গৃহহীন হওয়ার আশঙ্কা কয়েকশো পরিবারের। ভাঙন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, এই আশঙ্কায় সোমবার সকাল থেকে নিজেদের পাকা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে শুরু করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত প্রায় দু’বছর ধরে চলা নদীভাঙনে সামশেরগঞ্জ ব্লকের শিবপুর, ধানঘড়া, চাচন্ড প্রভৃতি এলাকায় কয়েকশো মানুষ গৃহহীন হন। নদীগর্ভে (River erosion) তলিয়ে যায় কয়েকশো বাড়ি। সঙ্গে প্রায় ৩০০ বিঘা চাষের জমি ও ফলের বাগান। রাজ্যের তরফে বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে, সামশেরগঞ্জে নদীভাঙন ঠেকাতে কোনওরকম কেন্দ্রীয় সাহায্য মিলছে না। রাজ্য সরকার ভাঙন প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করেছে। কিন্তু সুখা মরশুমে নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন কামালপুরের বাসিন্দারা। সামশেরগঞ্জের বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুন্ডা বলেন, ‘‘গতকালই নদীভাঙনের কবলে ৪টি বাড়ি ধসে গেছে। আজও কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু বাড়ি নদীবক্ষে ঝুলছে। গ্রামের প্রায় ১০ বিঘা এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, গোটা এলাকাটি নদী ভাঙনে ধসে যাবে।” তিনি জানান, ‘‘ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আমরা ত্রিপল এবং খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এলাকাতে মেডিক্যাল টিমও পাঠানো হয়েছে। সরকারের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অন্যত্র সরানো এবং তাঁদের ‘হাউস বিল্ডিং’ অনুদান হিসেবে ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: সৌরভ-রণবীরের সঙ্গে খেলার ঘোর কাটেনি কাটোয়ার সোমার