প্রতিবেদন : আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে আজ, শেষ রবিবার উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রচারে ঝড় তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম থেকেই প্রচারে অনেক এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থীরা। শেষ রাউন্ডে এসে এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিজেপি-সহ বিরোধীদের। মানুষও এককাট্টা, ভোট এবার তৃণমূলকেই। ফলে ৬-০ খালি সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন-বিশুদ্ধ কলকাতা, তৎপরতা পুরসভার
উত্তর ২৪ পরগনার দুই কেন্দ্র হাড়োয়া ও নৈহাটিতে ভোটগ্রহণের আগেই জয় প্রায় নিশ্চিত তৃণমূল প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম ও সনৎ দে’র। তবে আত্মতুষ্টি নয়, জনসংযোগ, ডোর টু ডোর প্রচার, কর্মিসভা, পথসভা, জনসভা, র্যালির মাধ্যমে চলছে প্রচার। জয়ের আগে এক ইঞ্চি মাটি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল নেতারা। সমানতালে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন কর্মীরাও। প্রচার শেষের একদিন আগে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলল প্রচার এবং ঘরে ঘরে ভোটার স্লিপ বিলি। এদিন সকাল থেকেই নিজের কার্যালয়ে বসে জনসংযোগ ও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা সারেন রবিউল ইসলাম। দুপুরে হাড়োয়া ১ নম্বর ব্লকের গোপালপুর-১ নম্বর অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগে গোপালপুর বাজার থেকে গোপালপুর হাইস্কুল হয়ে দাসপাড়া পর্যন্ত এক বিশাল র্যালি হয়। র্যালিতে ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বরানগরের বিধায়ক তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম-সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। র্যালিতে ছিল মানুষের ঢল। বিকেল ৩টে নাগাদ দেগঙ্গা ২ নম্বর ব্লকের পদ্মপুকুর বাজারে দেগঙ্গা-২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগ কংগ্রেসের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৫টা, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ পরপর আরও দুটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয় আমিনপুর বাজার ও খামার নবাদ বাজারে। সভাগুলিতে বক্তব্য রাখেন শেখ রবিউল ইসলাম, সুজিত বসু, সাংসদ পার্থ ভৌমিক, জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এই কর্মসূচির মাঝেই কর্মিসভাও চলে। সোমবার হবে আরও কয়েকটি কর্মিসভা। হাড়োয়ার পাশাপাশি এদিন সকাল থেকে জনসংযোগ সারেন নৈহাটির প্রার্থী সনৎ দেও।
আরও পড়ুন-একশো বছর পর নতুন মৌজা ম্যাপ পরিকল্পনা নবান্নের
দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরের মাদারিহাটের তৃণমূল পার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পোর সমর্থনে জলপাইগুড়ি জেলার বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রোড শো-এর মাধ্যমে প্রচার করলেন সাংসদ তথা ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। তাঁকে দেখতে উপচে পড়ে ভিড়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক, ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কোচবিহারের সিতাইয়ে এদিন প্রচার সভায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কুড়িটি পরিবার। পেটলা অঞ্চলের পেটলা বাজার এলাকায় ২০টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন রবিবার। কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। সাংসদ বলেন, বিজেপি কর্মীরা বুঝে গিয়েছেন, ওখানে থেকে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তাঁরা তৃণমূলে আসছেন। সিতাইয়ের তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়ের সমর্থনে রবিবার সারাদিন চলল জোরদার প্রচার। আটিয়াবাড়ি ও বিআরচাত্রা এলাকায় ছিল জনসভা। দক্ষিণ ভারালি বুথে জনসংযোগ করলেন টিএমসিপি কর্মীরা। ভোলাচাত্রা এলাকাতে প্রচার সারেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। প্রার্থী সঙ্গীতা রায় বলেন, সোমবার তিনি রাধানগরে সভা করবেন। সকালে রোড শো করবেন সাংসদ ইউসুফ পাঠান। রাধানগর থেকে গীতালদহ পর্যন্ত হবে রোড শো। এর পাশাপাশি মেদিনীপুর, তালডাংরাতে প্রায় সারাদিনই প্রচারে ব্যস্ত রইলেন তৃণমূল প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা।