সহজ জয়েও কাঁটা রোহিতের ফর্ম

ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন পাওয়া অক্ষর আউট হন ৪৭ বলে ৫২ করে। শুভমন মাত্র ১৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। ব্যর্থ কে এল রাহুল (২)।

Must read

নাগপুর, ৬ ফেব্রুয়ারি : টি-২০ সিরিজ জেতার পর, এবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচেও জয় পেল ভারত। বৃহস্পতিবার জস বাটলারদের ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন রোহিত শর্মারা। ৯৬ বলে ১৪টি চারের সাহায্যে ঝকঝকে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা শুভমন গিল। জোড়া হাফ সেঞ্চুরি করলেন শ্রেয়স আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল। নিটফল, ৬৮ বল হাতে রেখে জয়।
নাগপুরের ম্যাচের মুখ্য আকর্ষণ ছিলেন দু’জন— বিরাট ও রোহিত। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের বিপর্যয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ম্যাচে দুই মহাতারকা কেমন পারফরম্যান্স করেন, সেদিকে নজর ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। বিরাট চোটের জন্য খেলতেই পারলেন না! আর রোহিত মাত্র দু’রান করে আউট হলেন। তবে দারুণ ব্যাট করলেন শুভমন, শ্রেয়স, অক্ষররা। বল হাতে নজর কাড়লেন অভিষেক একদিনের ম্যাচ খেলতে নামা হর্ষিত রানা। তাঁর শিকার তিন উইকেট। রবীন্দ্র জাদেজাও তিন উইকেট ঝুলিতে পুরলেন।
রান তাড়া করতে নেমে, স্কোরবোর্ডে ১৯ রান তুলতে না তুলতেই যশস্বী (১৫) ও রোহিতের উইকেট হারিয়েছিল ভারত। কিন্তু শুভমন ও শ্রেয়স ৬৪ বলে ৯৪ রান যোগ করে যাবতীয় চাপ কাটিয়ে দেন। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেই ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডের বোলারদের উপর ছড়ি ঘোরালেন শ্রেয়স। তাঁর সৌজন্যে ১৪ ওভারেই স্কোরবোর্ডে একশো রান তুলে ফেলেছিল ভারত। শেষ পর্যন্ত শ্রেয়স আউট হন ৩৬ বলে ৫৯ করে। শুরুতে সতর্ক থাকলেও সেট হওয়ার পর হাত খোলেন শুভমনও। তিনি অক্ষরকে সঙ্গে ১০৭ বলে ১০৮ রান যোগ করে দলকে জয়ের দোরগোড়ার পৌঁছে দেন। ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন পাওয়া অক্ষর আউট হন ৪৭ বলে ৫২ করে। শুভমন মাত্র ১৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। ব্যর্থ কে এল রাহুল (২)।

আরও পড়ুন-রুদ্ধশ্বাস জয়ে কোপার সেমিফাইনালে রিয়াল, লিগ কাপ থেকে বিদায় আর্সেনালের

ম্যাচের পর শুভমনের প্রশংসা করে রোহিত বলেন, ‘‘আমাদের শুরুটা ভাল হয়নি। তবে শুভমন ও শ্রেয়স সেই চাপ কাটিয়ে দেয়। শুভমন দারুণ ব্যাট করেছে। অনেকদিন পর আমরা কোনও পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ খেললাম। দলের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।’’ এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট। বিশেষ করে, সল্ট তো শুরু থেকেই চালিয়ে খেলেছেন। হর্ষিতের এক ওভারে ২৬ রান তোলেন তিনি। কিন্তু জুটিতে ৭৫ রান যোগ হওয়ার পর, ডাকেটের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সল্ট। তাঁর অবদান ২৫ বলে ৪৩।

আরও পড়ুন-ভেঙে পড়ল সেনা-বিমান

পরের ওভারেই ইংল্যান্ডকে জোড়া ধাক্কা দেন হর্ষিত। ২৯ বলে ৩২ রান করা ডাকেটের ক্যাচ পিছন দিকে অনেকটা দৌড়ে গিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় মুঠোবন্দি করেন যশস্বী। তিন বল পরেই হর্ষিতের শিকার হ্যারি ব্রুক (০)। ফলে বিনা উইকেটে ৭৫ থেকে দ্রুত ৩ উইকেটে ৭৭ হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। রান পাননি অভিজ্ঞ জো রুটও (১৯)। ওই পরিস্থিতিতে জুটি বাঁধেন জস বাটলার ও জেকব বেথেল। চাপের মুখে দু’জনেই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে লড়াই করার মতো রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন। ৬৭ বলে ৫১ করে অক্ষর প্যাটেলের শিকার হন বাটলার। ৬৪ বলে ৫১ করে আউট হন বেথেল।

Latest article