পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল রোটাং পাস

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ মরসুমে স্বাভাবিকের তুলনায় শীত কম পড়বে। স্বাভাবিকের থেকে ন্যূনতম তাপমাত্রা বেশি থাকবে।

Must read

অ্যাডভেঞ্চার সন্ধানীদের জন্য দুঃসংবাদ। পর্যটকদের জন্য আপাতত বন্ধ করা হল রোটাং পাস (Rohtang Pass)। শীতের মরশুমে হিমাচল প্রদেশের এই জনপ্রিয় পর্যটনস্থল অনেকেরই পছন্দের তালিকায় থাকে। তবে এই মরসুমে রোটাং পাসের রাস্তায় ‘কালো বরফ’ তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই রাস্তাটি বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

আরও পড়ুন-প্রয়াত রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত বৌদ্ধচর্চার বিশিষ্ট পণ্ডিত সুনীতিকুমার পাঠক

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ মরসুমে স্বাভাবিকের তুলনায় শীত কম পড়বে। স্বাভাবিকের থেকে ন্যূনতম তাপমাত্রা বেশি থাকবে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে হিমাচল প্রদেশের পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত ভাবে তুষারপাত হতে পারে। নিরাপত্তা রক্ষার্থে পুলিশ ও বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের আধিকারিকরা যৌথভাবে রোটাং পাস এলাকা পরিদর্শন করেন। রাস্তার অবস্থা এই মুহূর্তে রীতিমত বিপজ্জনক। সেখানে যানবাহনের চললে, দুর্ঘটনার সম্ভাবনা প্রবল। বিধিনিষেধ যাতে কঠোরভাবে মানা হয়, তার জন্য মারহি থেকে গুলাবায় পুলিশ চেকপোস্ট স্থানান্তর করা হয়েছে। রোটাং পাসে প্রবেশের জন্য যে অনলাইন পারমিট দেওয়া হয়, সেটাও সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-ইন্ডিয়া জোট থেকে রাজ্য রাজনীতি, খোলাখুলি মুখ্যমন্ত্রী

তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে গেলে, রাস্তার উপর বরফের একটি পাতলা, স্বচ্ছ স্তর তৈরি হয়। রোটাং পাসের মতো উঁচু এলাকায় রাস্তার উপর এই পাতলা বরফের স্তর দেখা যায়। বাতাসের আর্দ্রতা, হালকা তুষারপাত, বা বরফ গলা জল রাস্তার সংস্পর্শে এলে এই বরফ তৈরি হয়। তবে বরফের রঙ সাদা হয় কিন্তু এই বরফের রঙ কালো। তাই দূর থেকে শনাক্ত করা একপ্রকার অসম্ভব। রাস্তার সঙ্গে মিশে যায় রং। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সাধারণত বন্ধ হয়ে যায় রোটাং পাস। তবে এই বছর শীত সেভাবে না পড়ায় নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে ও বরফও পড়া শুরু হয়েছে। তাই এবার রোটাং পাস বন্ধ করে দিল প্রশাসন। মে মাসের শেষের দিকে আবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

Latest article