যাত্রী নিরাপত্তা আজ সঙ্কটে। রক্ষকই যেখানে ভক্ষক সেখানে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। যেকোনো রেল যাত্রার সময় যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (RPF) বা আরপিএফ-এর হাতে। আজ সোমবার ৩১শে জুলাই ভোর ৫টা নাগাদ, দহিসার এবং মীরা রোড স্টেশনের মধ্যে এক জায়গায় জয়পুর-মুম্বই এক্সপ্রেসে, রেল সুরক্ষা বাহিনীর এক জওয়ানের গুলিতে প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ৪ জন।
আরও পড়ুন-১০ লাখ টাকায় ১০৬টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই হবে রাস্তা, আসানসোলে আট ওয়ার্ডে নতুন রাস্তা
শুধু তাই নয়, এর জেরে আহত আরও বেশ কয়েকজন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন একজন আরপিএফ-এর সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর বা এএসআই। বাকি তিনজন রেলের এদিনের সাধারণ যাত্রী। সূত্রের খবর, রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের কনস্টেবল সিটি চেতন চারজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কনস্টেবলকে মুম্বই রেলওয়ে পুলিশ আটক করেছে । রেলওয়ে পুলিশ তরফে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুর-মুম্বই এক্সপ্রেসের (ট্রেন নম্বর ১২৯৫৬) বি৫ কোচে। আজ ভোর ৫টা বেজে ২৩ মিনিট নাগাদ যাত্রীদের সুরক্ষায় নিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবল সিটি চেতন ট্রেনের এসকর্ট ইনচার্জ, আরপিএফ-এর এএসআই টিকা রামকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এই মাঝেই আরও ৩ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ওই কনস্টেবলকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের ঘাড়েও এবার জিএসটির বোঝা চাপাল কেন্দ্র
পশ্চিম রেলওয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা এই মর্মে জানানো হয়েছে, ‘পালঘর স্টেশন অতিক্রম পার করার পর, চলন্ত জয়পুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভিতরে এক আরপিএফ কনস্টেবল গুলি চালান। তিনি একজন আরপিএফ এএসআই এবং অন্য তিন যাত্রীকে গুলি করে দহিসার স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে লাফ দেন। পরে যদিও অভিযুক্ত কনস্টেবলকে অস্ত্র-সহ আটক করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন-আবেগের ঝরনাধারায় রত্ন গৌতম
উল্লেখ্য, রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবল সিটি চেতনকে জেরা শুরু হয়েছে। এএসআই টিকা রামের সঙ্গে কোন বিবাদ ছিল ওই কনস্টেবলের বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এর নেপথ্যে আর কোন কারণ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।