প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক জনমুখী প্রকল্পের সুফল পাচ্ছে বাংলার অর্থনীতি। তার ফলে ভূমি রাজস্ব আদায় বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বর্তমান আর্থিক বছরে তা পৌঁছে যাবে ১৩০০ কোটিতে। এমনই আশা রাখছে নবান্ন।
ভূমি রাজস্বের ক্ষেত্রে আর্থিক বছর ধরা হয় ১৬ এপ্রিল থেকে পরের বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। সেইমতো ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের ভূমি রাজস্ব আদায় পৌঁছতে পারে ১৩০০ কোটিতে। ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভূমি রাজস্ব আদায়ের হিসেব প্রকাশ করেছে রাজ্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এই ৮ মাসে ভূমি রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার। ২০২৫ এর ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৩০০ কোটির যে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে, তাও পূরণ হবে বলে আশাবাদী বাংলার মা মাটি মানুষের সরকার। নজিরবিহীন এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত বেশ কিছু প্রকল্প। মূলত অকৃষি জমির খাজনা, দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি সরকারি জমির লিজ, খনি ও খনিজ পদার্থ বাবদ রাজস্ব, ইটভাটা বাবদ রাজস্ব থেকেই এই সাফল্য। লিজ জমি পুনর্নবীকরণের খরচ কমানোর ফলে রাজস্ব আদায় বহুগুণ বেড়েছে। অনলাইনে খাজনা আদায় নিয়েও প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি, সবুজ-ঝড় ভগবানপুর সমবায়ে
রাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে এই খাতে আদায় হয়েছিল এক হাজার কোটি টাকা। এবার আরও ৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় বাড়ছে। রাজস্ব কমিয়ে এবং আদায়ের পদ্ধতিকে সহজ করাই এই সাফল্যের চাবিকাঠি। অনলাইনে টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা সর্বক্ষেত্রেই চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে শিল্পক্ষেত্রে দেশীয় বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। তার ফলে বাড়ছে জমির লিজ পুনর্নবীকরণের হার। অকৃষি জমির খাজনা দেওয়ার প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনও খাতে রাজ্যের রাজস্ব যাতে ফাঁকি না যায়, এ ব্যাপারে সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী রাজস্বের ভার লঘু করে আদায়ের উপর বেশি জোর দিয়েছেন। তারই সুফল মিলছে। ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে রাজ্যের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে।