প্রতিবেদন : গত দেড় বছর ধরে আটকে রয়েছে বাংলার ন্যায্য প্রাপ্য। বাংলার ২৫২৫ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক৷ ফলে সমস্যা হচ্ছে বাংলার গ্রামে গ্রামে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিতে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে বাংলার বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে বুধবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় জলশক্তিমন্ত্রী সি আর পাটিলের সঙ্গে বৈঠক করল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ১০ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দল৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারকলিপি।
২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকে বাংলাকে আর কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে বাংলাকে ৫০৫০ কোটি টাকা দেওয়ার থাকলেও দেওয়া হয়েছে মাত্র ২৫২৫ কোটি টাকা। এই সময়ে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের থেকেও বেশি ২৪০১ কোটি টাকা খরচ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কেন বাংলার ন্যায্য প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা হয়েছে? কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রীর কাছেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তৃণমূল সাংসদেরা (TMC)। জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যা জানান, সেখানে স্পষ্ট ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন আসেনি বলে অজুহাত খাড়া করেছেন মন্ত্রী। তিনি জানান, অনুমোদন এসে গেলেই বাংলার বকেয়া টাকা রিলিজ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- হরিণঘাটায় আইসক্রিম কারখানায় বিস্ফোরণ, ছিন্নভিন্ন মালিকের দেহ
বৈঠক শেষে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, অবিলম্বে বাংলার বকেয়া ২৫২৫ কোটি টাকা প্রদান করতে হবে। ওরা নিজেরাই ক্যাবিনেট অনুমোদন পায়নি। ওদের নিজেদের টাকাই নাকি রেডি নেই। এদিন শ্রমশক্তি ভবনে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ-করা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে ছিলেন লোকসভার মুখ্য সচেতক কাকলি ঘোষ দস্তিদার, লোকসভার ডেপুটি লিডার শতাব্দী রায়, রাজ্যসভার ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ, সাংসদ সৌগত রায়, মহম্মদ নাদিমুল হক, অরূপ চক্রবর্তী, প্রতিমা মণ্ডল, আবু তাহের খান, জগদীশচন্দ্র বাসুনিয়া এবং মিতালি বাগ৷
এদিকে, দিল্লিতে দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, ইস্যুভিত্তিক আক্রমণের ক্ষেত্রে দলের অভ্যন্তরে সুপরিকল্পিত সমন্বয় সাধন ও শৃঙ্খলারক্ষা জরুরি। বাংলার বকেয়া ইস্যুতে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে সংসদের ভিতরে ও বাইরে লাগাতার ঝাঁজালো আক্রমণ চালিয়ে যেতে হবে। মোদি সরকার কীভাবে বাংলার ন্যায্য প্রাপ্য ২ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে, তার বিবরণ গোটা দেশের সামনে তুলে ধরতে হবে। যতদিন না বাংলার মোট বকেয়া টাকা হাতে পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন আন্দোলনের ঝাঁজ কমবে না।

